শব্দের
প্রশ্রয় __ একটি অনুভবকালীন উদ্ভাস
(১)
এখন সকাল
ঘুম হয়নি গত তিন রাত
স্পষ্টতার আড়ালগুলিকে আজকাল আঙুলের ভাঁজে লুকিয়ে রেখে
পার করি আনুষাঙ্গিক ঘূর্ণিঝড়
ক্ষতের গভীরে লেখা সার সার প্রণামী অসুখ, শোকপ্রস্তাবের মতো দাঁড়িয়ে থাকে সামনে, এদের সাথে ইচ্ছে না করলেও সময় কাটাতে হয় আমায় ... আজকাল আর যুক্তি খুঁজি না, বরং স্পন্দনের বৈধতা খুঁজি, পরম্পরা খুঁজি। প্রিয় মেঘে যা
কিছু বিলীন, তার সবকিছুই অনন্ত যাপনে, ‘ঋণ’ হিসেবে রেখে দিয়ে স্বীকার করে নিয়েছি তাদের স্বযত্নে।
‘I am a Solitary Person’
... তাই সংশ্লিষ্ট মননের যাপন ও মানসিকতা বারবার
প্রতিফলিত হয় আমার সংলাপে ... ভাষ্যে ...
অথবা কলমে।
উন্নাসিক আখ্যায় নদীটিও
তার বহমানতা হারায়
রাস্তার সব হ্যালোজেন নিভে যাওয়ার পর ...
আত্মার গহীন বিপন্নতায়, ইমেজ আর শব্দকে আশ্রয় করে বাঁচি আমি
(২)
বহুদিন অর্গ্যান বাজেনি এ স্মৃতির শহরে। চলতা ওঠা, নিঃশব্দ চেয়ারে বসে আজকাল আর জীবনের ইতিহাস তৈরি হয় না।
নিঃঝুম রাস্তায় ছমছমে বিষণ্নতা সাক্ষী
রেখে,
মধ্য রাতের গোপন শব্দেরা আজকাল আর নিজেদের ইতিবৃত্ত মাপে না।
দিনগুলি এখন তামাটে ... হিমার্ত অন্ধকার মাখা
স্ফটিকপাত্রের নিচে জমে থাকা বরফ শীতল কুয়াশা
প্রকৃত কারুর কাছে যাওয়ার আচ্ছন্নতা কাটিয়ে
নিস্তেজ অবকাশ যাপনে অভ্যস্ত হয়
জীবনের রৈখিক চর্যায় একটি তারা খসে পড়লে, খেয়াল হয় আমিও ভালো নেই, তাই গভীর রাতে বালিঘড়ি বন্ধ হয়ে যাবার পর, সময়ের ভার করতলে নিয়ে, পিছুটানে পার
করি অনন্ত সংশয়।
ভালোবাসাবাসি'র ছবিতে আজকাল ক্লান্ত মসৃণতা ভর করে অনায়াসে। সার্থক বোধভাষা তৈরির প্রেক্ষাপট হিসেবে হাত ছুঁয়ে বসে
থাকা সান্ধ্য ইমনের সুর, সম্পর্কের ঘনায়মানতা আলতো চুমুক দেয় ... ছায়ার
মধ্যেই জন্ম নেয়, অন্য এক
ছায়াজন্ম।
এ সমস্তটাই এক দুর্ভেদ্য স্বরানুভব
যেখানে ব্যথা শব্দ স্খলনের
সমানুপাতিক
আপাত সম্মুখ দৃশ্যের অন্তরালে, হাজার হাজার একক অভিসারের ছবিটি, আসলে পরবর্তী
জন্মের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে, কুয়াশার
হাইফেন হয়ে স্বল্পকালীন ক্ষণিক বিরতি
নেয়,
আর আমরা শব্দের মেগা ন্যারেটিভে তাকেই নির্জন কনভয় নাম দিয়ে, লিখে ফেলি ... মধুমতী শূন্যতার অন্তিম আলো সাম্পান
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন