শনিবার, ২২ জুলাই, ২০১৭

সোনালী মিত্র

ধন্যবাদ তোমাকে 
      
তুমি আমাকে যুদ্ধের হাত থেকে বাঁচালে!
তুমি আমাকে উচ্চরক্তচাপ এবং নার্সিংহোমের তিতকুটে গন্ধ থেকে বাঁচালে!
এবার বাড়ি গিয়ে ঠান্ডা জলে শরীর ধুয়ে ফুলুরি দিয়ে মুড়ি মেখে খাব
আমি সমাজবিদ্যা পড়ানো সাধারণ মাষ্টার
এসব যুদ্ধটুদ্ধর হ্যাপা সামলানোর শিরদাঁড়া কোথায়!
এসব তুমি চার হাতপায়ে স্যালাইনের ছুঁচ গুঁজেও বুঝেছিলে?

কাকেদের পিন্ড খাওয়ানো ছাড়া অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর কোনো কাজ থাকে না।
শ্মশান বান্ধবরাও গলির মুখ পর্যন্ত সান্ত্বনা ছড়িয়ে ফিরে গেছে যে যার ঘরে।
ফেরার পথে বাবুর দোকান থেকে ক'প্যাকেট চন্দন গন্ধের ধূপ
কিনে আনব
তুমি তো চন্দন ভালোবাস!
তোমার বিছানার পাশটিতে রোজ ধূপের সঙ্গে পুড়ব
কাল থেকে আর মর্নিংওয়াক যাওয়া নেই!
এখন থেকে রাতে বিরিয়ানি সহযোগে তিন পেগ লার্জ ভোদকা খাব।
সকালে ঘুম ভেঙে মশারি না খুললেও চলে যাবে  
সন্ধ্যেবেলায় আর অকারণে সিরিয়াল টিরিয়ালের ঝকমারি নেই
অল টাইম টিভিতে চালাবে নিউজ আর বাসিখেলা

এই বেশ ভালো হ্লো বুঝলে!
সমস্যা হচ্ছে একটাই, চশমা কখন যে ফাঁকি দিয়ে
বারবার লুকিয়ে পড়ছে কলেজ প্রেমিকার মতো!
আমি যেন তার মরুভূমির চাতক।
ডায়বেটিস, সুগার, ব্লাডপ্রেসারের ওষুধগুলোও আঁখমিচোলি
এটুকুই যা...
বাকি সবই তো ঠিক!
শুধু আমার বুকের ভিতর বেদম যন্ত্রণা ঠেলে উঠলে
চাঁপাগাছের নি:স্বতা থেকে আমার শরীর পর্যন্ত একটা
অলৌকিক ছায়াকে ব্যাধিগ্রস্থ হতে দেখি।


পটুয়া এবং জীবন

জেগে ওঠো মৃন্ময়ী। আত্মাস্থিত হও।
প্রতিষ্ঠিত প্রাণ,খণ্ডিত দৈবরূপে।
রূপদর্শী নাভির গভীরে নেশাজাত মধুফুল
আর এক পোঁচ মাটি। অহ -দাম্ভিকা-সৌন্দর্য রূপিণী।
মৃত্তিকাশ্বরী। সুউচ্চ চূড়া। বৃন্তে অমৃতরেণু। চূড়ান্ত দৃষ্টিসুখ।
চক্ষুর সৃষ্টিসুখ!
আহ! এস ঘাম-জলে। খসে যাক পাপড়ি-ঈশ্বরীমাটি।
ওম শ্রমণা, প্রিয়তমাষু।
পয়যোনি সম্ভূতা।
আমি ডুব ডুব সাঁতার। আমি জন্মদাতা - আমি জন্মপিতা।
কাপড়ে জড়াবার আগে মাত্র একটিবার... অপরূপ নোনাজল।
কুমোরটুলির স্বাদ, অধোবদনা দেবী ঠোঁটে মেখে নাও।
জোয়ারের স্রোত। তোমাতেই জায়া-প্রিয়া-ভার্যা।
এস মৃন্ময়ী, যুবকক্ষীর নদে -আবক্ষ অবগাহনে।
বল, দেবী আমার
এক পটুয়া জীবন কি যথার্থ নয় মাটি ভালোবাসার?







1 টি মন্তব্য: