শনিবার, ২২ জুলাই, ২০১৭

রুণা বন্দ্যোপাধ্যায়

পুরনো কেদারা


দুপুরঘোর বেঘোর হচ্ছে
আস্তে
ধীরে
একেলা এক রোদ্দুরপণ
ওই বারান্দা
পুবঘেঁষে দোহার দিচ্ছে পুরনো কেদারা

আরাম থেকে খুঁটে তুলছি কালবেলা
অনিমেষের অল্প ঘষটে চলা পা
নাড়া দিচ্ছিল 
বাহাত্তুরে সাঁকো
ও পাগলা সাঁকো নাড়াসনে
বলাবলির আগেই উজাড় হয়ে গেল বাঁশঝাড়

আমি তখন মধুচোঁয়ানো সকাল
আদুরে আঙুল জড়িয়ে নিচ্ছে
বুনোফুল
কচিধান 
দুধগন্ধ

তারপর...

তারপর আলপেরোনো খেলা নিয়ে
এক্কা দোক্কা
পেরোতে পেরোতে এই শূন্যদশক
এক সার আয়নার সমান্তরালে
হাতপাহীন অজস্র প্রতিবিম্ব
মিলিত পদধ্বনি 
চলছে
চলবে
চলবে না
চলবে না

পড়ন্ত রোদের ওপারে তখন কেয়ারিআঙুল
মার্লবোরো
একটেরে যাপন লাইটলি ধোঁয়াচ্ছে
একটা
একটা
পাক খুলছে হোমকুণ্ডের
আসন্ন রাতসোহাগ জানিয়ে যাচ্ছে
তখন ছিল বিভাবরী এখন কেবল রাত


সূর্য ওঠার একটু আগে


তোমার কথা ভাবতে ভাবতেই সূর্য উঠে গেল
যদি না মেঘলামন আকাশটায় টিপসই দিয়ে তুমি
সাত ঘুরুঙের শাড়ি
মাটি ভেজা ভেজা গন্ধ

অধীনতার কথা শোষণের কথা মনে পড়ে না
পূর্বাভাষের অভাবে ডুবন্ত জেলেডিঙি
প্রেক্ষাপট মাত্র
রোদের থেকে থেমে থাকা নদীর থেকে বাষ্প কুড়িয়ে
বেনামি রাস্তার টুকরো জুড়ে জুড়ে
কতদূর
মনে পড়ে

ভুবনডাঙায় কুয়াশা ভেঙে ভেঙে
দরজা খোলো বলতে বলতেই
বেয়নেটের মুখে হাত রাখলে তুমি
সুচেতনা
ওভাবে পাড় ভেঙো না
সত্তরনামা পেরিয়ে এসেছি
সূর্য ওঠার একটু আগে



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন