বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০১৭

পলাশকুমার পাল

বেকার ছেলের পূর্ণিমা

ঘড়ির কাঁটাগুলো পূর্ণিমার চাঁদে লাগিয়ে
বেকার ছেলেটি পাল্স গোণে,
আর শিরায় শিরায় শ্যাওলা জমা দেয়ালে
দুধ উথলে ওঠে...
তারপর খোলা জানলায় মুখ বাড়িয়ে
মাকড়সার জালে কবিতাকে জড়িয়ে
দেয়ালে ঝুলিয়ে দেয় চাঁদ-
পেঁচা ভ্রু কুঁচকে বলে ওঠে
"এই তো অভিষেক। রাত অনেক বাকি!"
টিকটিকি আর চাঁদের পাশে চোখ রেখে
আনমনে দড়িটা ফাঁস হলে
দেয়ালে বিশ্বস্ত হাতের টোকা পড়ে
"এই, এই শুনছো!
মৃত্যুর সোঁদা গন্ধ কখনো হয় না বাসি!"


পূর্ণিমার খিদে

একটা পূর্ণিমাকে আস্ত একটা রুটিতে মাখিয়ে
ড্রেনে ছুঁড়ে দিলে
কিছু কুকুরের পিছু পিছু একটা মানুষ
লালায়িত জিভের ভিড় থেকে ছোঁ মেরে কাক হয়,
তারপর উড়তে উড়তে
একটা নাইটক্লাবের মাদকনৃত্যে ছড়িয়ে দেয় পোড়া টুকরো...
বুদবুদিত শ্যাম্পেনের মতো পৃথিবীর ঝোলাব্যাগে
নিষিদ্ধ বইয়ের মলাট পাল্টে ইস্তাহার ছড়িয়ে পড়ে...
এক-দুই-তিন তারা থেকে তারায়
ঘড়ি বেঁধে ধর্ষিত কাগজ চেখে নেয়
কবির নোনতা শব্দ-
সৈকতে গড়িয়ে পড়ে ফ্যান,
ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভেরে পূর্ণিমার খিদে হেঁশেলের ধুলোয়-
উনুনের আগুনের পাশে
চোখাচোখি বিড়াল ও শিশুর পর্যটন বন্দী করে দৃশ্য কিছু।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন