বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০১৭

নাজনীন খলিল

দহনের স্মৃতিকথা

তুমি বললে -- অনিবার
আমি বললাম -- হুতাশন

অগ্নিহোত্রী হয়ে গেছি
দেখো কেমন অনায়াসে যেতে পারি
এক আগুন থেকে আরেক আগুনে
সাগ্নিক

কি ছিল প্রথম অথবা চূড়ান্ত ভুল

সুশীতল তরুছায়ে দূর্বাঘাস হয়ে বেঁচে থাকি
--
এই অসম্ভব ক্ষণ-স্বপ্ন?

চড়ুইয়ের খসে পড়া ধুসর পালক কুড়ানো,
জমা করে রাখা?

শুধুই একটি কথা
কত যত্নে রাখা ছিল পারিজাত-মূলে;
পাখিদের ঠোঁট থেকে ঠোঁটের আদরে
চকোরের রামধনু পরাগে পরাগে

এক কথা -- হাজার কথা হয়ে গেল এক নিমেষেই
যেমন-উতলা বাতাসে জলের বিম্ব ভেঙ্গে
একই ছবি -- হাজারো প্রতিচ্ছবি

সিকস্তিতে পাড় ভেঙ্গে বয় নির্ঝরিণী
দীর্ঘশ্বাসের একটি স্বাক্ষর রেখে যায়
চরের ভেতরে

বৈশ্বানরের কাছে জমা রেখে যাই
দহনের সমস্ত স্মৃতি-কথাটুকু


ঈশ্বর

আকণ্ঠসুরার ভারে টলতে টলতে কোথায় যাচ্ছে এ  মাতাল শহর!

আমাদের ঘরে কোন ঈশ্বর আসেন না।
মেঘ ছিঁড়ে ঝুম বৃষ্টি নামলেই,
আধো অন্ধকার ঘরে
থোবড়ানো বিয়ারের ক্যান হাতে কেবলই ঝিমান।
আমরা দিনরাত্রি তার তপস্যায় থাকি
প্রার্থনারত হাতগুলো থেকে মাঝেমধ্যে 'আহা' ধ্বনি বাজে।

মাত্র আধহাত দূরে পানপাত্র রেখে
যে লোকটা অসীমধৈর্যে বসে আছে
ঠোঁটে ছোঁয়ালেই শেষ হয়ে যাবে ভয়ে ;
সেই সুস্থির লোকটাকেই ঈশ্বর মনে হয়।

এই যে এখন, টালমাটাল পায়ে হেঁটে যাচ্ছে একজন ঘোরমাতাল
যদি ঠিকঠাক দরোজায় ঠোকা দেয় সেও তো ঈশ্বর হয়ে যেতে পারে...


মিউট

একটা ঝাপসা রাতের ভেতর জুড়ে বসে আছে
আরেকটা কুয়াশামোড়া রাত।
মর্মরের ঘুঙুর বাজার অপেক্ষায় খোলা ছিল একটি জানালা।

তখন।
যখন আমরা শিখে নিয়েছিলাম
অন্ধকারের স্যাঁতসেঁতে আলোয়ানের ভেতর থেকে
 কিভাবে সবুজ পায়রা ওড়াতে হয়,
প্রবল হিমের ভেতরে বেড়ালের ওম মাখা পশমী আমেজ।


ঘোর মহুয়া আর মাদলের মাতাল তালে বেজে যাচ্ছে কেউ।
আমি তো সব মিউটেই দিয়ে রেখেছিলাম!




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন