বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০১৭

সোনালি বেগম

বনভূমি

জীবনের স্পন্দন শুধু দু-চোখ ভরে দেখা
অনন্ত নৈঃশব্দ্য ভেঙে হিমবাহের বরফপ্রাচীর ভাঙে
মায়াবী আলোর ঘাসজমি নিভৃত ভুবন গার্লিক স্যুপ
গুচ্ছ গুচ্ছ নীল ফুল আকাশছোঁয়া উচ্চতায় রূপান্তরিত নারী
গুঞ্জনরত ভ্রমর সারিবদ্ধ পাইন ওক দেবদারু বন।
সেবার পশ্চিম সিকিমের পার্বত্য গ্রাম ইয়াকসমে
পরিশুদ্ধ আকাশ প্রাচীন গাছের ছায়ায় হারিয়ে গেল
আমার পায়ের নূপুর।
ফামরং ফলস দুর্নিবার স্মৃতি প্রজাপতি পাখি
কার্তোক লেকের চারদিকে উড়ছে নানা রঙের প্রার্থনাপতাকা
চড়াই হাঁটতে গিয়ে তুমি বনভূমি হয়ে গেলে।

ঝুলন্ত সেতু

রংবাহারি সাজ বিকেলের আলোয় জড়িয়ে পরস্পরে
রবিঠাকুরের স্মৃতিবন থেকে টেগরস ভিউপয়েণ্ট।
শিরীষ সেগুন গামার গাছের জঙ্গল ছড়িয়ে
রিনচেনপং গুম্ফায় অতিবুদ্ধের মূর্তি
আলিঙ্গনরত বুদ্ধ ও নারীমূর্তি
পুরুষ ও প্রকৃতির সৃষ্টি অগ্রগতি।
ঘনঘোর বর্ষার জলে ঝুলন্ত সেতু, পাশেই গিরিখাত
শক্ত হাতে ধরেছি তোমার হাত ––
বুকের গহনে ফুটেছে রংবেরঙের রডোডেনড্রন ফুল।

শব্দ-কথা

হিমালয়ের বুকের গহনে আমি তিস্তা তুমি রঙ্গিত
নির্বাসন যৌবনের ছোঁয়ায় রহস্যময় তর্জনী।
বারবার ডেকে জড়িয়ে নিচ্ছি বন্দি-শৃঙ্খল-মুক্তি
বহমান নগর জীবনস্মৃতির অতল সমুদ্র আখ্যান
স্বর্গরাজ্য নয়, শ্রমিক-শ্রম সাম্য-সৌহার্দ্য বার্তা।
চারটি হাতে নিবিড় ঘূর্ণিঝড়
কুঠারাঘাত উদ্বেগ আভাস ক্রমে প্রেমদীপ্ত আকাশ
যুদ্ধক্ষেত্র দাবানল নিদারুণ যন্ত্রণা দগ্ধ মৃত্যু-ক্ষোভ ––––
করতলে ঝরে ফুলের পাপড়ি শব্দ-কথা-চুম্বন। 
 
 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন