ফ্রম জেমস বন্ড, উইথ ইডিওলজি
চতুর্থ পর্ব
জেমস বন্ড এবং ‘য়্যুবারমেন্স’
“The cruelty of victory is
the pinnacle of life’s jubilation”
—Friedrich Nietzsche, “Homer on Competition” in ‘On
the Genealogy of Morality’
জয়,
আনন্দ। জয়, দুঃখ। সাধারণত জয় ও আনন্দকে একই বন্ধনীতে রাখা হয়। কিন্তু, উলটো পিঠে,
জয় দুঃখেরও জন্মদাতা। আনন্দ বিজয়ীর, দুঃখ বিজিতের। এখানেই জয় তার নির্মম দাঁত-নখ
বার করে, নৃশংস হয়ে ওঠে। তবে জয় যতই নিষ্ঠুর ও নির্দয় হোক, জীবনের উল্লাস-শিখরে
বয়ে নিয়ে যায় এই জয়। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কোন উদ্দিষ্টকে আদায় করাই হচ্ছে জয়।
কিন্তু
কোনো কিছুকে ‘আদায় করার ক্ষমতাই’ কি সর্ব বৃহৎ গুণ? না। ‘আদায় করা’ থেকেও বেশি
গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা। এই মানসিকতার মাধ্যমে মানুষ হয়
শৃঙ্খলাবদ্ধ, সংযমী। নীৎশের মতে প্রাচীন গ্রীকদের প্রভূত উন্নতি ও প্রতিপত্তির
উৎসমুখ ছিল তাদের রাষ্ট্রীয় চেতনা যার ভিত্তি ছিল “the finest Hellenic principle, competition”। জীবন
ও সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতার সম্পর্ক ব্যাখ্যা করার সূত্রে নীৎশে উপরে উল্লিখিত উক্তিটি
করেন: “The cruelty of victory is the pinnacle of life’s
jubilation”।
আসলে, প্রতিযোগিতা জীবন-যুদ্ধে রূপান্তরিত হয়ে যায়। বিপরীত ভাবে, জীবন-যাপনও এক
প্রতিযোগিতায়, যুদ্ধে পর্যবসিত হয়। এবং, প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে সর্বোৎকৃষ্ট
গুণসম্পন্ন, সর্বোচ্চ শক্তিমান ব্যক্তি স্বাভাবিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত হয়। সেই
ব্যক্তি তখন অন্য দুর্বল মানুষদের রক্ষাকর্তা নিযুক্ত হয়।
এখন, প্রতিযোগিতাকে ঘিরে নীৎশের এই ভাবনাচিন্তাকে এক রূপরেখায় মাধ্যমে আকার প্রদানের চেষ্টা হলে এক সুপারহিরোর, সুপারম্যানের অবয়ব উঠে আসে। এই সুপারহিরো নিরন্তর নিজের ভালো গুণগুলিকে আরও শানিত করে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। স্বাভাবিক ভাবেই সে সর্বোচ্চ শক্তিমান, সর্বোৎকৃষ্ট মানসিকতা সম্পন্ন এক ব্যক্তি। সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সে স্বভাবত জয়ী নির্বাচিত হয়। এবং এই জয়লাভের মাধ্যমেই সে পরম তৃপ্তির আস্বাদ নেয়। এও ব্যক্তিপুজোরই আর এক রূপ— এক অতিমানবের কল্পনা। এ এক এলিটিস্ট কল্পনা। গোষ্ঠীর তুলনায় ব্যক্তি বড়— এই মতাদর্শের বুর্জোয়া উপাসনা। ব্যক্তিই দুর্বলের, প্রান্তিক বা অন্ত্যজদের রক্ষাকর্তা— সভ্যতার রক্ষাকর্তা। এবং উদ্ধারকর্তাও।
এখন, প্রতিযোগিতাকে ঘিরে নীৎশের এই ভাবনাচিন্তাকে এক রূপরেখায় মাধ্যমে আকার প্রদানের চেষ্টা হলে এক সুপারহিরোর, সুপারম্যানের অবয়ব উঠে আসে। এই সুপারহিরো নিরন্তর নিজের ভালো গুণগুলিকে আরও শানিত করে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। স্বাভাবিক ভাবেই সে সর্বোচ্চ শক্তিমান, সর্বোৎকৃষ্ট মানসিকতা সম্পন্ন এক ব্যক্তি। সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সে স্বভাবত জয়ী নির্বাচিত হয়। এবং এই জয়লাভের মাধ্যমেই সে পরম তৃপ্তির আস্বাদ নেয়। এও ব্যক্তিপুজোরই আর এক রূপ— এক অতিমানবের কল্পনা। এ এক এলিটিস্ট কল্পনা। গোষ্ঠীর তুলনায় ব্যক্তি বড়— এই মতাদর্শের বুর্জোয়া উপাসনা। ব্যক্তিই দুর্বলের, প্রান্তিক বা অন্ত্যজদের রক্ষাকর্তা— সভ্যতার রক্ষাকর্তা। এবং উদ্ধারকর্তাও।
নীৎশের
চিন্তার অনুমিতি টানা হলে যে সুপারহিরোর অবয়ব পাওয়া যাবে তার বাস্তব রূপ কেমন? সেই
অতিমানবীয় সাধারণ মানুষটি কেমন? উত্তরটা সহজ: প্রায় হুবহু ইয়ান ফ্লেমিং সৃষ্ট
স্পাই জেমস বন্ড। জেমস বন্ড হচ্ছে প্রতিযোগিতামূলক
মানসিকতাসম্পন্ন সুপারহিরোর আধুনিক সংস্করণ: “a man of war… peace was killing him”। বন্ডের
কাছে গুপ্তচর বৃত্তি এক দুরূহ প্রতিযোগিতা, এক জটিল খেলা— আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও
পাওয়ার পলিটিক্স-এর মতোই জটিল, অদমনীয় এবং অতিআবশ্যক। ‘দ্য স্পাই হু লাভড মি’
গল্পে ভিভিয়েন মিশেলকে বন্ড গুপ্তচর বৃত্তির জটিল চরিত্র ব্যক্ত করে:
“It’s nothing but a complicated game, really.
But then so’s international politics, diplomacy— all the trappings of
nationalism and the power complex that goes on between countries. Nobody will
stop playing the game. It’s like the hunting instinct.”
গুপ্তচর বৃত্তির, এবং
আন্তর্জাতিক রাজনীতির, এই ক্রীড়াসুলভ বৈশিষ্ট্যের সমান্তরাল রূপক হিসাবে বন্ডের
প্রতিটি গল্পে বিভিন্ন খেলার বিশদ বিবরণ পাওয়া যায়: ব্যাকার্যাক্ট, ক্যানাস্তা,
ব্রিজ, সলিটেয়ার, গল্ফ, স্কিইং, ব্ল্যাকজ্যাক, রুলেট, ঘোড়-দৌড়, জাপানী রেসলিং,
টেনিস, দাবা ইত্যাদি। খেলা নিছক খেলা নয় এখানে, বরং এর ব্যবহার অন্য ইঙ্গিত বহন
করে: খেলা যুদ্ধের প্রতীক। প্রতিটি দেশের মধ্যে
অবিশ্রান্ত ভাবে চলে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক যুদ্ধ। ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময়ে কূটনৈতিক
যুদ্ধ পৌঁছেছিল এক অন্য মাত্রায়, উচ্চতম শিখরে। কোনো একটি দেশের জাতীয় চরিত্রের
প্রতিফলন ঘটে খেলার প্রকারভেদে, চরিত্রে। যেমন রুশরা দাবা খেলায়, অর্থাৎ নিখুঁত
পরিকল্পনায়, পারঙ্গম। ‘ফ্রম রাশিয়া, উইথ
লাভ’ গল্পে ক্রন্সটীন, ‘উইজার্ড অফ আইস’, একজন তুখোড় দাবাড়ু
এবং গুপ্ত বাহিনীর গুপ্ত কার্যকলাপের পরিকল্পনাকারী। তার কাছে মানুষ সাধারণ বোড়ে।
তাদের টোপ হিসাবে রেখে ছক করা যায়। তার কাছে এক একটি পরিকল্পনা এক একটি
‘গ্যাম্বিট’। উলটো দিকে, ব্রিটিশরা স্বভাবত ‘গ্যাম্বলার’— ক্যাসিনোতে, যুদ্ধের
ময়দানেও।
এহেন ‘গ্যাম্বলার’
ব্রিটিশ এজেন্ট বন্ডের গল্পে গ্যাম্বলিং-এর অনেক উদাহরণ পাওয়া যায়। ‘গ্যাম্বলার’
বন্ড অনেকাংশেই নীৎশের জরাথুস্ট্র হয়ে ওঠে। বিপদ নিয়ে জুয়া খেলা— জীবনের সাথে
জুয়া খেলা নিয়ে তাদের বক্তব্য একই:
“The devotion of the greatest is to encounter
risk and danger and play dice with death” [‘Thus Spoke
Zarathustra’]
এই
জুয়া খেলার ধৃষ্টতার মাধ্যমেই বন্ড ‘গ্রেটেস্ট’ ব্যক্তি, সর্বোৎকৃষ্ট মানুষের তকমা
আদায় করে। সে এক অতিমানব। অতএব, বন্ডের কাছে জয় ধরা দেয় স্বাভাবিক পদ্ধতি মেনেই।
কারণ তার জয় পূর্ব-নির্ধারিত— ‘প্রিডেস্টাইন্ড’। বন্ডের সমস্ত অতিমানবীয়
ব্যক্তিত্ব ও আত্মসম্মানবোধ তার অপরাজেয় স্বভাবকে ঘিরেই গড়ে ওঠে। তাই, তার কাছে এই
পূর্ব-নির্ধারিত জয় অতি-আবশ্যিক। এই ছকের সামান্য বিচ্যুতি ঘটলে বন্ডকে ঘিরে থাকা
সুপারহিরোর আবরণ খুলে যাবে। ‘ক্যাসিনো রয়াল’ গল্পে বন্ড যখন সাময়িকভাবে ব্যাকার্যাক্ট
খেলায় নিজে হারতে চলেছে বলে ধরে নেয় তখন তার অদ্ভুত ছটফটানি দেখা যায়:
“Bond sat silent and frozen with defeat. . . .
What now? . . . Back to the telephone call to London, and then tomorrow the
plane home, the taxi up to Regent’s Park, the walk up the stairs and along the
corridor, and M’s cold face across the table, his forced sympathy, his “better
luck next time” and, of course, there couldn’t be one, not another chance like
this.”
এই
যন্ত্রণা ভয় থেকে আসে, দুশ্চিন্তা থেকে জন্ম নেয়। একজন বিজিত ব্যক্তিতে পরিণত
হওয়ার ভয়, ‘সুপারম্যান’ বা নীতশের ভাষায় ‘য়্যুবারমেন্স’ থেকে ‘কমনম্যান’-এ নেমে আসার
দুশ্চিন্তা:
“His desolation reflects the shocking realization
that he is after all not one of the elect, but bound for damnation; or, in
Nietzschean terms: not an Übermensch but merely human-all-too-human.” [Ishay Landa. ‘James Bond: A Nietzschean for the Cold War’]
তবে, সমস্ত খেলাতেই ‘প্রিডেস্টাইন্ড’ জয় বন্ডের
হাত ধরেই থাকে ঠিক। অবশেষে বন্ড ‘য়্যুবারমেন্স’ হিসাবে ঠিক জয়ী হয়।
এই ‘প্রিডেস্টাইন্ড’ জয়লাভের ধারা গল্পের ন্যারেটিভ স্ট্রাকচারকেও এক ‘ক্রীড়াসুলভ’
ছকে বেঁধে ফেলে। সবকিছু, সমস্ত চাল, পরিকল্পনা, ফলাফল ইত্যাদি সেখানে
‘প্রিডেস্টাইন্ড’।
বন্ডের গল্পের
ক্রীড়াসুলভ গাঁথুনি উম্বার্তো একো’র দৃষ্টিতে ধরা পড়েছিল। [“Narrative Structures in Fleming”, ‘The Role of the Reader’] একো’র যুক্তি অনুযায়ী
বন্ডের গল্পগুলি নির্দিষ্ট কতগুলি নিয়ম, ধরা-বাঁধা ছকের ভিত্তিতে তৈরি। পাঠকরা আগে
থেকেই জেনে ফেলে ওই নিয়ম, ছক; এমনকি অন্তিম ফলাফলও। তাহলে তাদের কাছে অজানা কী
থাকে? অজানা থাকে একটি বিশেষ বিষয়: কী
ভাবে, কোন পদ্ধতিতে খেলাটি ধাপে ধাপে এগোয় সেইটা। তারা শুধু প্যাঁচগুলোকে পরতে
পরতে খুলতে দেখে। এবং, একো’র মতে শুধুমাত্র গল্পের গাঁথুনি নয়, গোটা গল্পটাই একটি
‘খেলা’, এক প্রতিযোগিতা, ‘প্লে সিচুয়েশন্স’-এর সিরিজ। এই গেম-লাইক গঠন এক রকমের
ন্যারেটিভ সেলফ-কনসাসনেস-এ পৌঁছে যায় ‘ফ্রম রাশিয়া, উইথ লাভ’ গল্পে। এখানে বন্ডের তুর্কী-সহযোগী ডার্কো
কেরিম বন্ডকে বলে:
“But
I was not brought up to ‘be a sport’...This is not a game to me. It is a
business. For you it is different. You are a gambler.”
বাস্তবে বন্ড ও তার
ইডিওলজির পূর্ব-নির্ধারিত অনিবার্য জয়ের প্রক্রিয়ায় কিছু সীমাবদ্ধতা থাকাটা কিন্তু
স্বাভাবিক। এমনকি সমগ্র গল্পটার ‘প্রিডেস্টাইন্ড’ ছকেও তা স্বাভাবিক। কেরিম কিছুটা
চোখে আঙুল দিয়েই দেখিয়ে দেয় সেই সীমাবদ্ধতা:
“This is a billiard
table. An easy, flat, green billiard table. And you have hit your white ball
and it is travelling easily and quietly towards the red. The pocket is
alongside. Fatally, inevitably, you are going to hit the red and the red is
going into the pocket. It is the law of the billiard table, the law of the billiard
room. But, outside the orbit of these things, a jet pilot has fainted and his
plane is diving straight at that billiard room, or a gas main is about to
explode, or lightning is about to strike. And the building collapses on top of
you and on top of the billiard table. Then what has happened to that white ball
that could not miss the red ball, and to the red ball that could not miss the
pocket? The white ball could not miss according to the laws of the billiard
table. But the laws of the billiard table are not the only laws, and the loss
governing the progress of this train, and of you to your destiny, are also not
the only laws in this particular game.”
এবং, এই গল্পে অন্তত, চেনা নিয়ম বা পূর্ব-নির্ধারিত ছকের বাইরেও অন্য কোনো নিয়ম বা ছকের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। অন্য সমস্ত গল্পে বন্ড ও প্রধান খলনায়কের মধ্যে কোনো না কোনো খেলার দৃশ্য থাকে। এখানে নেই। এখানে সমগ্র পৃথিবী জুড়ে ক্ষমতা কায়েমের কোন ভয়ঙ্কর পরিকল্পনাও নেই খলনায়কের। সব থেকে বড় ব্যাপার, গল্পের শেষে বন্ডের 'সম্ভবত' মৃত্যু ঘটে। এই মৃত্যু, ‘য়্যুবারমেন্স’-এর মৃত্যু, অন্য গল্পের সমস্ত পরিচিত ধাঁচের থেকে এই গল্পকে একদম আলাদা এক মাত্রা দেয়।
এবং, এই গল্পে অন্তত, চেনা নিয়ম বা পূর্ব-নির্ধারিত ছকের বাইরেও অন্য কোনো নিয়ম বা ছকের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। অন্য সমস্ত গল্পে বন্ড ও প্রধান খলনায়কের মধ্যে কোনো না কোনো খেলার দৃশ্য থাকে। এখানে নেই। এখানে সমগ্র পৃথিবী জুড়ে ক্ষমতা কায়েমের কোন ভয়ঙ্কর পরিকল্পনাও নেই খলনায়কের। সব থেকে বড় ব্যাপার, গল্পের শেষে বন্ডের 'সম্ভবত' মৃত্যু ঘটে। এই মৃত্যু, ‘য়্যুবারমেন্স’-এর মৃত্যু, অন্য গল্পের সমস্ত পরিচিত ধাঁচের থেকে এই গল্পকে একদম আলাদা এক মাত্রা দেয়।
বন্ডের গল্পে ‘খেলা’র
উপস্থিতি, ‘খেলা’র প্রদর্শনের, অন্য এক মাত্রাও আছে— অন্য মাহাত্ম্য, অন্য
উদ্দেশ্য। এখানে ‘খেলা’ সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতার প্রকাশ ঘটায়। জাতীয়
চরিত্র তুলে ধরে। আবার ভোগ-বিলাস আর অবসর-বিনোদনের বুর্জোয়া নীতিকেও প্রতিষ্ঠা
করে— একই সঙ্গে, হাত ধরাধরি করে। বন্ড যেসব খেলায় অংশ নেয়, ঠিক যেমন যে মদ সে খায়
এবং যে গাড়ি সে চালায়, সেগুলো বিনোদনের প্রকৃষ্ট প্রতীক। সেই খেলাগুলি সাধারণ স্কুলের
খেলা নয়, সেগুলি রাজকীয় অভিজাতদের খেলাও নয়। এমনকি সেগুলি শ্রমিক শ্রেণীর বা
প্রলেতারিয়েতদের ফুটবল খেলাও নয়। সেই সমস্ত খেলাগুলো সবকটাই ‘কনজিউমার স্পোর্টস’—
গল্ফ, স্কিইং, ক্যাসিনো গ্যাম্বলিং ইত্যাদি। এই খেলাগুলির সঙ্গে কোনো বনেদিয়ানা
যুক্ত নেই, কোনো শ্রেণী-তাৎপর্যও যুক্ত নেই। এগুলি শুধুমাত্র ধনী মানুষদের খেলা,
অবসরকালীন বিনোদনমূলক খেলা। বৃহত্তর ক্যাপিটাল কনজিউমারিস্ট ছাঁচের একটি ক্ষুদ্র
অংশ এই ‘খেলা’। এই ‘খেলা’ ভোগবাদের বুর্জোয়া নীতিকে প্রতিষ্ঠা করার এক হাতিয়ার, এবং
জেমস বন্ড হল বুর্জোয়াতন্ত্রের ‘খেলোয়াড়’।
গ্রন্থসূত্র:
1)
Ian Fleming. ‘From Russia,
with Love’. Dilip Kumar Basu. ed. Worldview. 2001.
2)
Friedrich Nietzsche, “Homer on Competition,” in ‘On the Genealogy
of Morality’ (New York: Cambridge University Press, 2000).
3) Ian Fleming. ‘The Spy Who Loved
Me’. Pan Books. London, 1967.
4) Friedrich Nietzsche. ‘Thus Spoke Zarathustra’.
5) Ian Fleming. ‘Casino Royale’. Hodder and
Stoughton. London, 1988).
6) Ishay Landa. ‘James Bond: A
Nietzschean for the Cold War’.
7) Umberto Eco. “Narrative
Structures in Fleming”. ‘The Role of the Reader’. Indiana University
Press. Bloomington, 1979.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন