নিষ্ঠুর ভালোবাসা
(১)
পার্কের বেঞ্চে ব’সে আছে দু’টি ছেলে-মেয়ে। ছেলেটি বলল,
“এখানে আসতে তো ভালোই লাগে। কিন্তু রোজ রোজ তো আর আসতে পারব না। এক দিন কাজ বাদ দিলে টাকা কাটা যায় যে! তুমি তো মাস-মাইনে পাও,
তোমার তো চিন্তা নেই। কিন্তু পার্কে বসে প্রেম করলে তো কেউ পয়সা দেবে না।”
মেয়েটি খুব চালাকের মতো বলল,
“যাতে বাড়িতে ব’সে প্রেম করতে পারি সেই ব্যবস্থা করো না।”
ছেলেটি যেন এই কথার জন্য প্রস্তুত ছিল। সে বলল,
“হ্যাঁ, আমি রাজি।” এই ব’লে সে মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরল। দু’জন দু’জনকে আদরে ভরিয়ে দিল।
(২)
সুমিত্রার বাড়ির কাজের মেয়েটি তিনদিন হলো কাজে আসছে না। কোনো খবরও দেয়নি। সুমিত্রা দাঁত কিড়মিড় করে আর বাসন মাজে। গত পরশু বিকেলে ওর মা এসেছিল মেয়ের খোঁজ করতে। সে নাকি বাড়িতে ফেরেনি। সুমিত্রা তো অবাক। বলে,
“সে কী! ওতো ক’দিন হলো কাজেই আসে না!”
বাসন্তী আর ফিরলোই না। সুমিত্রা বাসন্তীর মা’কে পুলিশে খবর দেওয়ার পরামর্শ দিল।
(৩)
শেষ রাতের দিকে হাসপাতলের দরজার কাছে থামল একটি রিক্সাভ্যান। দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছে একটা আস্ত কালপাতায় কারুকে শুইয়ে রাখা হয়েছে।। স্ট্রেচারে তোলার সময় মুখটা এক ঝলক দেখা গেল। কে ও, বাসন্তী না! এই তিনমাস ও কোথায় ছিল? বেঁচে আছে তো?
...
চলুন না,
একবার খোঁজ নিয়ে আসি!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন