অপেক্ষা
যাপনের
মুহূর্তগুলো দ্রুতগামী ট্রেনের জানালা
বাইরে
দৃশ্যগুলো তুলির আঁচড়
ইচ্ছেগুলো
রাতজাগা অ্যাশট্রেতে নেভা ছাই
জড়
ও জীবের প্রজননে সিগ্রেটের মুড়োগুলোরও এক একটা গল্প থাকে
এক
ক্লান্তিহীন বিজ্ঞান মনস্তাত্ত্বিক সম্ভাষণে
আয়নায়
দাঁড়িয়ে নিজের ছবি দেখে
জানালার
কাচে বন্ধ্যা কুয়াশা
শীত
যাই যাই করেও যায় না তো
আসে
না বসন্ত।
পারবো কি
সমুদ্র-সময়
এসে গেল। আবার অরণ্য ঘোর লাগা দিন ।
সাগর
পেরিয়ে যেতে যেতে তুমিও ফিরে গেলে উঁচু পাহাড়-সমতলে।
পেছনে
খাঁড়া ট্রেইল।
ফিরতে
হবে ভেবেছি।
এত
পথ,
এত কাঁটা, এত ধুলো
এই
যে রডোডেনড্রোন,
ব্ল্যাক
বেয়ার,
কার্ডিনাল
এই
যে লাইলাকের
বেগুনি-রঙ
উঠোন।
আমার
বাঁশবাগান, চাঁদ-ঘুম, ধানশীষ,
কাঠালচাঁপা
ভোর-
ঘুম
পাড়িয়ে রেখেছি।
পাঁজরে
কে গেঁথেছে হারপুন?
বাতিঘরে
কে দিয়েছে আগুন?
সাদা
জ্যোৎস্নায় স্থির তিমি, নীল।
ফেরার
সময় হয়ে এলো -- পারবো কি?
অভিমানী
ভেতর
যখন বাইরে পড়ে থাকে
চোখ
পড়ে যায় বাহির-ভেতরটাতে
এই
নিয়মে প্রেমের যত খেলা
দুঃখ
ভাসায় গাঙের কূল অবেলা
মোমের
আলোয় পুড়তে পুড়তে মন
চাঁদের
আলোয় হাতড়ে দেখা কোন
বুকের
'পরে হাত রাখে বিবাগী
ফুলের
বনে ঘুমায় মক্ষিকা।
এমন
করে বাইরে আঘাত হেনে
যে
দিয়েছে ব্যথা, সেইই জানে
কিসের
বিষে উপুড় হয়ে নীল
আগলভেজা
ভেতরটাতে খিল
দিয়ে
কে এক নিমেষে ছাই
জ্বালিয়ে
গেছে চৈত্র-দুপুরটাই ।
এমন
কেন হয় না বোঝার ভুল-
বুঝতে
নিয়ে ফুটেছে এক ফুল
মৌ
কি মধু ফিরে এলে কাছে
চাকভাঙা
মন বধু পিয়ে বাঁচে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন