বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৭

শুভ আঢ্য

ধাতব পাখি


সেই মোরগ আর হাওয়া, পালকহীন উড়ে যাচ্ছে মাত্রা ও তাপ
এই একটা মাত্র পাখির মনের দিকেই তাকাই,          
তাক্‌ করি
দেখি, উড়বে উড়বে করেও
সন্তর্পণে সে গুটিয়ে নিয়েছে ডানা...

বোঝা যায় অর্থাগম হবার পর নিজের ইচ্ছে
কিছুটা বন্ধক তো রাখতেই হয়! পাখি রাখে                     
তার শব
আর কিছুটা দিতে হয় চারিয়ে দক্ষিণদিক ও রসাতল উত্তরে

হাওয়াকেও আর কতই বা করব অবিশ্বাস!
কতই বা ঘুরে ফিরে খোঁজখবর       
অথবা খবর              
খোঁজ করব
অনাত্মীয় দিক, আর বজ্রবিদ্যুৎ
কতটাই বা ঠোঁট ডুমুরে ছোঁয়াব
গুপ্ত ফুলের আশায়

দেখি হাওয়ামোরগ থেকে বায়ুপ্রবাহ
কমে আসতে ধাতব পাখিটাও
ঝাপটাচ্ছে হতাশা আর
ফিরতে চাইছে আগের কোনো ভোরে যেখানে
পালকের তলায়         
কেউ শুয়ে রয়েছে       
যারা বাবা-মা হয়ে উঠবে


চাবি ও অক্ষরেরা


তারপর দাঁত ও লালা থেকে লেখাকে গলার ভেতর দিকে
ছেড়ে দেওয়াই ভালো, দেখো সেই তোমার অচেনা
আপাত গোলগাল অক্ষরগুলো তোমারই
স্কার্ফ বেয়ে বুকের কাছে থামল, সাহসী স্টেশনে রাতে
ওরা জানে না বুকের চাবি নেই তোমার আর
দম তোমার এসেছে ফুরিয়ে

অথচ তোমার থেকে এই অক্ষরগুলোকে
ছিনিয়ে আনার মতো দম                    
থাকার কথা ছিল আমারও, যদি না
হারিয়ে ফেলতাম চাবি

তাই অক্ষরগুলো মজুত স্তনাগ্র ছাড়ছে না, এখন পোশাকের ওপর
আমি দেখছি মিথোস্ক্রিয়া থেকে
শব্দগুলো আক্ষরিকই তোমায় পড়ে ফেলছে


বাঁচানো গেল না যাকে, তার উদ্দেশ্যে  


শুধুই সেই তুরুপের কথা জানি
যে তাস থেকে জোকার লুকিয়ে রাখে
সেই ম্যাজিকের কথা যেখানে হার্ট তোমার ক্রমে ক্রমে
আমি তালুতে ঢুকিয়ে নিই শূন্য বোধে
বাক্সে ঢুকে পড় তুমিও

অথচ তোমাকে বাঁচাই খুনের অনিচ্ছা থেকে
এসব ম্যাজিক আমার কম্মো নয়
আর মনে পড়ে –
‘যাকে বাঁচানো যেত, তাকে আর কে কবে বাঁচালো’

আমার দেশ ও পাঠ এটুকুই
বাকিটা কারসাজি কার ফুল পড়ে যে যায় কোথায়!
তুরুপ থেকে আমি তোমাকে পাল্টাই এবং
টেক্কা থেকে ফিরিয়ে আনি বোধ

দেখি ম্যাজিক থেকেও ভালো ইমাজিনেশন তোমার
আর জোকার আমি তাস থেকে পড়ে থাকি
দূরে উইংসের পাশে ডানা ভেঙে

(ঋণ – স্বদেশ সেন)


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন