মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

পিয়াল রায়

শহরতলির মেয়ে – ৭

সব মেয়েরই একটা করে গল্প আছে
গল্পগুলো ভীষণরকম অল্প আঁচে
যাচ্ছে মরে প্রতিদিনই এমনভাবে
যাতে করে হিংসুটে এই শহর বাঁচে

না। আমি আর বলব না কোনো কথা
অনেক করেছি সহ্য অপমান; নীরবতা
তুমি ভেবেছিলে আঘাতে আঘাতে আমাকে ধ্বংস করে
ফিরে যাবে ফের নিজ নিজ সেই নির্ঝঞ্ঝাট ঘরে
এই তো দেখ না মরিনি তো আমি দিব্যি রয়েছি বেঁচে
নগরে-পাহাড়ে-মেরুতে-মরুতে জঙ্গলে গাছে গাছে
ছড়িয়ে দিয়েছি আমার রক্তে বীজাণুর যন্ত্রণা
ছড়িয়ে দিয়েছি বাস্তব আর ছড়িয়ে যাচ্ছে দেনা
চোখ লুকিয়ে চোখের বদলে জলকে অস্ত্র করে
যুদ্ধের দিন শেষ হয়ে গেছে সে দিনটা গেছে মরে
এখন আমরা খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত হতে জানি
হৃদয়ের মুখে হাতচাপা দিয়ে ব্যর্থ করেছি গ্লানি
ব্যর্থতা মানে শিখেছি আমরা হারিয়ে যাওয়াই নয়
জীবনের প্রতি বিশুদ্ধ প্রেম, বিশুদ্ধ সঞ্চয়


খিদে

ওকে যেতে দাও
ওকে বের করে দাও ঘর থেকে
ও থাকলে কবিতাগুলো সব
মাথা নিচু করে থাকবে জানু পেতে

ওর খিদে বেড়ে যাচ্ছে ক্রমশ
হাততালি আরো বেশি হাততালি চায় ও
অথচ জানে না সব বেশিরও শেষ থাকে
যেমন থাকে চোখের গভীরে ঘুমও

ওকে বলে দাও -
সময়ের চেয়ে দামি এ মুহূর্তে নেই কিছু
হাততালি থেমে গেলে পড়ে থাকে শুধু
কঙ্কাল। নির্জন। ফাঁকিবাজিটুকু...  





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন