স্ব-পরস্বামী
পথ ভাগ হলে লঞ্চ বা রেল বুঝি না
ঠিকানা অমিল হলে শুনি না সমাজখঞ্জনী
জেহাদ রচনা করি।
ওরা তামাশায় বলে উঁকি দিস না
আটকে রেখেছে বুঝি তার প্রশ্বাসের ঝড়
ভাঙচুর তছনছ...
ফিরে যেতে বলেছে যেও-না-ইচ্ছে
গুমরনো দুপুরসিঁড়িতে এসো বর্ষা চুপিসাড়
ধুইয়ে আনো তার ঘাম;
কপালে তার দেওয়া ক্ষত
কালচে সুখা রক্ত ক্রমশ গলেছে অকারণ
নামঞ্জুর ফলাফল।
ছড়ানো খালি কোলা বোতল
টিকিটের গালিচা
ট্রেন বাস জাদুঘর ইমামবাড়া ট্রাম
নন্দন একাডেমী টফি র্যাপারে...
সে।
ছোঁয়া
সন্ধ্যে হলে সে রাস্তায় যেতে ভয় করে
ও উঠে আসে আমার গা ঘেঁষে
তোমার আদর আর দু’টাকার দুটো বিস্কিটের আশায়
‘নিখেকো’ তুমিই নাম রেখেছিলে
আমি দিলে খিদেতেও খায় না
আমার আশেপাশে তোমাকে খোঁজে
দেখতে না পেয়ে আমার কোলে মুখ ঘষে
অসহায় হাত ওর মাথায় বুলিয়ে চলে যেতে হয়
এসো...
স্বেচ্ছা পাতকী
অনভ্যাসের উপোস কাটে
অভ্যাসে, রাত পোড়ে
মরণকাঠির ঠোঁট ফোলানো মান
দুয়োরাজার বশ
দিনদখলি ওম জোড়ে।
ভেবেছিলে বেকুব কঠিন
মন তোমার, আগুনসুখী
জমাট শীতেই শিকার হিমবাহ
গণ্ডি জুড়ে ধ্বস
গুজব ছড়াও রক্তমুখি!
রসাতলে ডুবে যেতে
খুব রাজি, পাপী যে
তোমার নামের আদ্যক্ষর মেখে
ভরাট পাপফলক,
ফাঁস খুলেছি ফোঁস সেজে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন