পরবর্তী সংবাদ
(১০)
শূন্যকে সময়ের হাতে ছেড়ে দিলে
বাড়তে বাড়তে একটা গোটা জীবনচরিত
লুডোর পুট আমার চাল
ওইটুকুনি চলা
তাই ছক্কার উলটোপিঠে নিশ্চিহ্ন লিখে
খুলে বসেছি শেষের পাতা
এবার ছক্কা পড়ছে অনবরত
তলায় তলায় শূন্য মুছে
ফুটে উঠছে সাদা
ত্রিঘাতে ভাঙা রং
সন্তর্পণে আঙুলে তুলে প্রস্তুতি নিচ্ছে লাটাই
ঘুড়ি ওড়াতে ওড়াতে
ভোকাট্টা হবার স্বপ্নটা এবার
দেখে ফেলা যায় অনায়াসে
(১১)
পালছেঁড়া নৌকোটা আজ ভিড়তে নারাজ
ভাঙা হাটের কূলে
আকাশ ডেকেছে আমার দু’হাত
বৈঠা ভাসছে জলে
মাথার ভেতর পাগলাঘন্টি
প্রলয় পরাগ ওড়ে
যতদূর চোখ যায় সুনামীর পূর্বাভাস
তরঙ্গের মুঠি চেপে গোল গোল
ঘুরছে গোলকধাঁধা
জলোচ্ছ্বাসে চশমার ঝাপসা কাটিয়ে দেখি
বাতিঘরের আলো বলছে
নিখাদ হও
(১২)
রাধা রাধা বলে ডেকে উঠছে
কেন্দ্রলীন দেহ
পরিধি বরাবর কৃষ্ণপরিখা
খনন করছে অষ্টোত্তর শতনাম
নন্দপুরের আটচালায়
ধুয়ো তুলছে খেজুরপাতা
তিলকমাটির বৃন্দগানে পূর্বরাগের রসকলি
রস যে বড় বালাই গোঁসাই
বংশী তোমার বাজল কই
(১৩)
সজনীগো পাগলামিতে মজে আছো
বাহির দেখলে না
মুখের ভেতর মুখ খুলছে
হসন্তদের দল
হাসির খুনে
রজঃস্বলা
আড়াল ও আবডাল
তুমি অক্ষরে অভিমান ভরে দেবে
নাকি শ্যামরায়ের কুসুমসুরভভার
অধিকার তোমার
শুধু সিঁড়িটা নামার জন্য
এটুকু সত্যি বলে জেনো
বাকিটা নিছক পরিহাস
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন