মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

ওয়াহিদা খন্দকার

আচিল

আচিলগুলি ভাসছে...
উড়ানকে মধ্যপত্র করে।
চোখের পর্দা পড়ে গেলে
রঙ্গমঞ্চে খেয়াল বদল হয়।
চিড়িয়াখানার প্রেমিক গড়িয়ে যায়
শজারুর ভ্রূবাক্যে...
ইতিমধ্যে তত্ত্বের থানে বোনা হয়েছে বাউল-নারীও।
মধ্যবিত্ত আচিলগুলি ভাষা পায় না শুধু
নখের শ্লেটে লেখা হতে থাকে প্রাসঙ্গিক রূপকথা
অন্ধকারে...
আচিলরা অন্ধ হয়ে দেহ হাতড়ে।
ঘুমেরা রোজগার করে পথ,
ওরা হেলান দেবে বলে

জ্বর
                       
জ্বর আসবে এখুনি...
শরীরের কোথাও লুকিয়ে থাকে এসব জলবায়ু।
কবরস্থান জানে শীতল ঘুমের আতপ।
রোমকূপ ভাগ করে পুড়তে থাকে চুল্লি।

মাঝখানে অদৃশ্য টাওয়ার বয়ে আনে ক্ষুদ্রঋণ
অথবা রোদের ডাক আসে ভেতরমাটি থেকে...
আবারও জ্বর আসতে থাকে নাভিমূল থেকে।

স্বেচ্ছাবন্দী ভিটেমাটি
হয়তো ইচ্ছেমৃত্যু সাঁকোগুলির।
বুকে অজস্র নৌকো নিয়ে যুবতী হয় মাতৃত্ব
অতএব স্তনরস থেকে উগরে উঠতে থাকে জ্বর।

দিনলিপিতে ঘুমোতে থাকে উষ্ণ প্রসবনরা।
দিনের শেষে শব্দেন্দ্রিয়গুলি তেতে ওঠে জ্বরে।
হয়তো এভাবেই
উষ্ণতা বুকে করে কুয়াশা বিলীন হয় আদরে...
                  


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন