শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

দেবযানী বসু

-এ কৃষ্ণ খ-এ খচ্চর -এ গাধা 
 
আজকের মতো মুদি দোকানের ঝাপতাড়া বন্ধ। এখন মন দিয়ে তথ্যমূলক ছবিটির  চিত্রনাট্য লেখা যাবে। কুইট স্মোকিং টুডের শেষ সিগারেটটি সিরাজদ্দৌলার নামে শপথ কোরে ফোঁকা শেষ করে রেহান। নবাবের বেগবান ফুসফুস হুটার বাজিয়ে ইছাই পাড়ার বাঁশঝাড় ক্রশিংয়ে গিয়ে ধাক্কা খায়। এখানে রমেন্দ্র মিত্রের গল্পানুসরণে ভৌতিক শিহরণ জাগানো জীবিত বাঁশের খলখল হাসি, রমণীয় চর্বির দোপাট্টা কোমরে শঙ্খচূর্ণী, মেয়েবেচা বাপের বেতো ঠ্যাঙে তেল মালিশের মোলায়েম শব্দ রেকর্ড করা শেষ।
চামড়ার হাতব্যাগে বাজেট প্যাঁদানো কর্কশ কড়কড়ে পাত্তি ‘ঝানানা ঝানানা বাজে রে...’ একেবারে ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যর স্বাক্ষরিত পৈতে। গাধা পুষে কোনো লাভ নেই জেনে বিপন্ন গাধাদের বটতলায় সারা বছর ভিজতে পুড়তে কিম্বা আরবীয় কায়দায় গাধা রোস্ট করে খাবার পদ্ধতি সরকারি ফাইলে লিখে প্রোমোশন...
বিনা নিমন্ত্রণে ছুটে আসা স্তনে... হাল্কা নিম্নচাপবোধে চাকরি ও বশীকরণের পক্ষে সমস্তটাই খারাপ সময়। রেহান বিলুপ্ত জমিদারির সিংমূর্তির বীচিতে হাত বোলাতে  থাকে।
বজবজে গঙ্গার ধারে লোকেশন। ঝরন্ত বাড়ির পাশে বাগানের অনেকটা জুড়ে বাড়ি বাড়ি প্যান্ডেল। কাজের মাসীদের দোর্দন্ড প্রতাপে কাবু জমিদার গিন্নি। আজকের অ্যাকশন প্রেমের আবহসঙ্গীত ছিল ধুনুরির ব্যাং ব্যাং। একটা প্রেমিকা দিয়ে ব্যবসা পোষায় না আজকাল। তবে কানে কানে সবাইকেই তুমি আমার শ্রেষ্ঠ বন্ধু বলতে হবে।
প্রমোদ লুঙ্গিওয়ালার অর্ধেক তৈরি সিনেমাহলের দিকে তাকিয়ে ধোঁয়া ছাড়ে রেহান।  ধোঁয়া নেওয়া গাধাটা যৌনডাক ডাকল। বেশ কয়েক রাত ধরে এরকমই চলছে। পাশের গ্রামে ওর সঙ্গীনিকে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মধ্যযুগে পশুরতির প্রচলন ছিল মানুষের তৃপ্তির জন্য। কোনো এক কবি তার পোষা গাধাটিকে তার স্বজাতির সঙ্গে মিশতে দেয়নি। এই সময় বাড়তি শিল্পী সুলেখাদি দরজায় ‘নক’ করল মৃদু। কথামতো ভেজানো দরজা ঠেলে ঢুকল। বোঁটকা গন্ধ কী... মাড়ি বের করে হাসল বা কে... সত্যি বেশ থলথলে আরামদায়ক চর্বির চ্ছটা... রেহান হাত বাড়ালো কাছে টানতে।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন