শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৬

শুভ আঢ্য

মাতালনামা  


()

কাঁটাওলা থেকে মাছওয়ালি যতটা সরিয়ে নিয়েছে
মাছের মাংস, আমি নির্গুণ ব্রহ্মের কথা ভাবি না অতটাও

সন্ধের পর, সিলিং ঘরের
নেমে আসতে কাছে, আমাকে বদ্ধ হতে হয়, যদিও অবধ্য
কি মহিষাসুরও ছিল! উপমা দিয়ে গ্লাস ঢাকার এ পুরনো রোগ
ঠনঠনিয়া থেকে শিখেছি। ময়মনসিংহ যাইনি কোনোদিন

ব্রহ্ম আমাকে শব্দের দিকে নিয়ে যায়, খালি খালি অক্ষর
মরা মাছের মতো ঢিপি ছাড়া কিছুই তুলতে পারেনি
না একটা কবিতা, না একটা উপন্যাস

আমি সেই ফিরে আসি কাঁটাওলা মেছুনির কাছে
মাছ কিনি তবেই, যদি ওই নাকছাবি একটু হলেও ঘুরে গিয়ে থাকে
নৈঋত কোণে, হ্যারিকেনের আলোর দিকে

না হলে, ফিরে আসি। হ্যারিকেনের আলোয় তার মাংস
দেখার পার্ভারশন জেনে আমি মাছের কথা ভাবি আর
ভাবনার মধ্যে চাই না কোনো কাঁটা রাখতে


()

গতরের পাশে যে ফুলদানি রেখেছিলাম
তা ঢাকতে পারেনি তোমার গতর, অতএব হাতে আমার
জুঁইমালা জড়ানোর দোষ মাফ, তোমাকে হবেই করতে

সেইমতো আমি এক বাঁওয়ের পর দুইবাঁও  
দুইয়ের পর ত্রিগুণ মহাদেবের পুজো করি, আমার হাতের  
ধুতরো সোজা না উল্টো করে ধরেছি মনে নেই, যদিও
ফুলদানিতে ধুতরো মানায়ও না সেরকম

আমার চোখ দেখতে পায় তোমার দেহ আমার জন্য বরাদ্দ রেখেছে
স্নেহ, তবু আমি নোংরা মেয়েছেলের কাছে শুনতে যাই
তাদের হাড়হিম বেচাকেনার গল্প, তোমার চুল থেকে দেখতে পাই
রাত হলে দরজা সামান্য ভেজিয়ে শুয়ে পড়

সেই জুঁই, আকন্দের বদলে, ধুতরোর বদলেও আমি
তোমার নামে বাবা ভোলানাথ... কিছু মনে করে না ভগবান,
ভক্ত যখন সাত্ত্বিক চূড়ান্তভাবে



()

কথিত কোনো প্রবাদ আমি যে বিশ্বাস করবই না
সে বিশ্বাস তোমার থেকে দূরে নিয়ে যাওয়াটাই
এক ও একমাত্র উদ্দেশ্য আমার

এখন বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয় ক্যালেণ্ডারের দার্জিলিং ঘরে
এসে গেছে, জানালার বাইরে মধ্যবিত্ত কাঞ্চন-জঙ্ঘা নিয়ে আর পারছে না
হাঁটুর ব্যথায় দাঁড়াতে, ওকে চেয়ার দাও একটা...

কোনদিকে যে তিস্তা গলে গেল, ব্রীজে ওঠার পর,
খুঁজে আমি নিশ্চয় পাবো, বিশ্বাস সে নিজেই, কোনো মুর্মু বা ঢালি’র
সাথে আমার প্রেম ছিল শুনেছো কখনও!
এখনও তাদের কথা ভুলিনি বলেই বিশ্বাস আমার ভঙ্গ করে দিল
ঊরু, আয়ুর্বেদ ব্যাপারটা পোষায় না সেরকম যেহেতু
বেদের আয়ু নিয়ে সঠিক ধারণা আমার নেই।

কথিত প্রবাদ নেই কোনো, যা আছে সবটাই প্রচলিত


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন