শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

দেবযানী কর সিনহা

ভারি অস্ত্র   
 
কচুপোড়া শহর তোমাদের! এদিক ধরে দুই ক্রোশ গেলে ছোট্ট গাঁয়ের প্রতিভাত সকাল, ঘোর কালো দীঘির জলটলমল, ওখানেই পাবে তুমি তাকে, নদীতে মুখোমুখি  বউ শ্রী দেখছে
 
দেখছে যৌবন কেন এত ভয়াবহ প্রেমহীন তবু  অসম্ভব  সফর!
ডুবেছে ডুবুরি নদীর গহন বুকের খালে, লুকোনো আরোহণী পাতাল অবধি গেছে, কানে আসে জলজ প্রাণের কলরোল, নিঃশব্দে বিরংসা, ওইখানে বসে আছে নীলা, পলা, জহরত মেলা!
সমুদ্র দিবস নাম রেখে গেলাম প্রিয় সমাবেশে খোদাই হলো একটা অমরত্ব, এক শ্বাসে সেই কারোর বস্ত্রের একটু গিঁট চেয়েছি, ফাঁসি না! প্রতিশ্রুতি ছিল না তবুও শ্লেষ জড়ানো তিরস্কার!
সেই থেকে মেঘের গায়ে আছড়ে পড়ল গোধ্র ইচ্ছেটুকু, মাজা রঙে রসে আধফালি হাসি নিয়ে জল গবেষণা। 
একে একে দুবার করে বালি খুঁড়ে কলস ভরে কালবীর্য, মুখে না কথার প্রকল্প ছেড়ে যায় নিরুত্তর দৃষ্টি কোথাও আছে জানি সাহসী হওয়ার গৃহ, আ​মি নেই আমি নেই, 
জল আমার প্রিয় 
জল থেকে উঠে এসে জলদূত জলসাঘর বানায়, এখানেই শৌচ এখানেই গীতা।

উলুবন  

আজও উলুবনে মুক্ত ছড়াতে এলাম, বেলা গেল চলে অস্তরাগের সম্মতিতেই 
ইতিহাস তো অদৃষ্টের পিতামহ আদিম রক্ত মিশে নতুন পরিহাস 
এরপর হুট করে ধূসর বেলার সওদা 
শরতের দুপুরে একরাশ এলোকেশী মৃদু ছলনায় এলে মন্দ না! বরং মেঘে মেঘে  নিষেকের ফলে শীতের উপাসনা। 
এসো শীত, নদের ইশারায় 
আজকাল নাকি নদ বুড়ো পাহাড়ের কোলে মাথা রেখে ঘুমোয়
তপ্তদীর্ণ, শাখাহীন থাকা সে গ্রীষ্মকে ভুলে যেতে চেয়েছি 
খরাদিনে আগুন! স্নেহহীন 
যুদ্ধ বাঁধায়, ঘাম থেকে টেনে নেয় ভালো স্মৃতি, এতবার ডেকে উলুবনে নিজের অম্পূর্ণতাকেই মেলে দিচ্ছি।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন