পরিচয়
রঙ দিয়ে শরীর ও চারপাশে,
কারুকাজ করা হোমের আগুন
আঁকি।
প্রতিদিন সকালবেলা।
ঠিক সময়ে পৌঁছলেও,
সেখানে কেউ ছিল না,
দোলানো গ্রামাফোন বা
কোনও রক্তমুখী নীলা,
পাহাড়ের কান্না।
গড়িয়ে নামলে তার ভিতর লুকিয়ে
পড়ি
যদি মানায় –
ভেবে ট্রপিকাল অন্ধকার
আঁচলে জড়িয়ে নেয়
দিদিমণির ঝরাপাতা,
এই রাতে।
অন্ধ সাপটির, আলো দেখে
হেসে ফেলা,
একটু কুড়িয়ে নিও।
চরাচরে
লম্বা হলঘরে হামাগুড়ি
দেয় দেবদূত।
তার সোনার চপ্পল
সকালে ঠেলাগাড়িতে সবজি
বিক্রি করেছিল।
দেওয়ালে কালো কালিতে
লেখা
গল্পের মধ্যে অন্য এক
গল্প থাকে।
মেহেরবান টেক্কারা।
কারোর কারোর সিঁড়ি
শুধুমাত্র উপরের দিকে,
বন্ধ চোখ,
কাঠের বাড়ির পাশ দিয়ে
ঘোড়াদের দৌড়,
দেখছ খয়েরি শাড়ির একটানা
চীৎকার,
দেখছ ছুটে যাওয়া
অ্যম্বুলেন্স -
সকালবেলায় ধুয়ে নেয় চোখে
লেগে থাকা পুঁজ,
আধভাঙা স্বপ্ন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন