সোনার পুতুল, শিকল আর অঘটন
(১)
রোজ বেসন মেখে
গা ধুলে দেখবি কেমন
ফর্সা হবি! লোকে
বলবে এ মেয়ে তো হূরপরী!
ইসস্ এত বেসন
গায়ে মাখবে? শুধু নিজের গা মাজলে চলবে, বাথরুম
কে ঘষবে? তোমার বাপের বাড়িতে শাওয়ার, কমোড আছে? তোমার বাপের বাড়ি তো একতলা!
গরমে আমার ছেলেটা কষ্ট পাবে!
(২)
জ্বর কত? কখন
থেকে? সকাল অব্দি তো দেখিনি!
ছেলেটাকে কিছু
বলিস না, তোকে কত ভালোবাসে! আমিও কত অসুস্থ। মানিয়ে নে!
আমার ঝগড়া করলে
বুক ধড়ফড় করে।
(৩)
ভোররাতে জ্বলে
যায় সোনার পুতুল, চুপিসাড়ে সবাইকে বাঁচিয়ে!
একটা শিকল সবার
অলক্ষ্যে অন্য ঘর খুঁজে নেয়!
ফিরতি আলো
তুমি মাইলের পর
মাইল হেঁটে
আমার কাছে আসো।
নিরুত্তাপ
দাঁড়িয়ে থাকি,
যানবাহন, লোক
চলাচল দেখি।
আকাঙ্ক্ষিত
সংযমের বাঁধ ভাঙে।
মুষ্টিভর দেখা
করার লোভে,
অগুনতি মানুষের
ভিড়ে
আমিও হাত পেতে
দাঁড়াই,
অহর্নিশ দুঃখ
পেতে।
প্রভাতী ভৈরবীর
নীরবতায়।
উদ্ভাসিত সুগন্ধী
ধূপ,
আরাত্রিক রোশনাই,
পাশাপাশি বসে আছে
রোদ
ভালোলাগা রাস্তার
দু’পাশে
গড়ে ওঠা নরম সবজে
বাগান
ধুলো কুড়িয়ে নিই, ফিরে
আসি একাবোধে।
সন্দীপন, তোমাকে
ভীষণ কাছে
পেতে ইচ্ছে করে,
আলোড়িত হয়ে যাই, তোমাতে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন