ইয়াসুনারি
কাওয়াবাতা : বিষাদগ্রস্ত আত্মার উপাখ্যান
জাপানি ছোটগল্পকার ও ঔপন্যাসিক ইয়াসুনারি
কাওয়াবাতা ১৮৯৯ সালের ১১ জুন জাপানের ওসাকা নগরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনিই প্রথম জাপানি লেখক যিনি তার আলোছায়াময় গীতিধর্মী গদ্যের
জন্য ১৯৬৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
তাঁর
ছোটগল্প ও উপন্যাস আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও উপভোগ্য হয়ে আসছে প্রথম থেকেই। এখনো পাঠক-সমাজে ব্যাপকভাবে সমাদৃত একজন কথাসাহিত্যিক
তিনি।
ইয়াসুনারি কাওয়াবাতার কৈশোর, যৌবন ও মধ্যবয়স
যুদ্ধের মধ্য দিয়ে পার হলেও প্রেমকেই তিনি মুখ্যত লেখার বিষয় করে তুলেছিলেন। তাঁর বিখ্যাত উপন্যাসগুলি
হচ্ছে ‘ইজুর নৃত্যবালিকা’,
‘বরফের দেশ’, ‘হাজার সারস’, ‘পাহাড়ের ধ্বনি’।
এসব উপন্যাসের উপজীব্য ছিল
প্রধানত শাশ্বত প্রেমের অন্তর্নিহিত দ্বন্দ্ব।
তাঁর লিখনশৈলী এতটাই আবেদন সৃষ্টি করেছিল যে, ১৯৬৮ সালে নোবেল
কমিটি তাঁকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করে। তাঁর
উপন্যাসে প্রধানত প্রেম, দর্শন আর ইতিহাস একইভাবে প্রভাব বিস্তার করে আছে। তাঁর প্রবন্ধ, ছোটগল্পও পাঠকের
কাছে সমানভাবে সমাদৃত হয়েছে এবং জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। কাওয়াবাতার অন্যতম জনপ্রিয় ও ব্যতিক্রমী গ্রন্থ ‘দ্য মাস্টার অব গো’। গো হলো এক ধরনের বোর্ড গেম।
কাওয়াবাতার সাহিত্য-জীবনের শুরুটাও চমকপ্রদ। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি সাহিত্য পত্রিকায় ছোটগল্প লিখে
নজর কেড়েছিলেন তখনকার জাপানের কিকুচি কানের মতো স্বনামধন্য সাহিত্যিকদের।
সুপ্রতিষ্ঠিত এক চিকিৎসক পরিবারে কাওরাবাতার
জন্ম। কিন্তু মাত্র চার বছর বয়সে তিনি এতিম হয়ে পড়েন এবং
এরপর থেকে দাদা-দাদির কাছে লালিত-পালিত হতে থাকেন।
তাঁর একমাত্র বোন চাচির সাথে থাকতো এবং দশ বছর বয়সে মাত্র একবারের জন্যে তাঁদের সাক্ষাৎ হয়েছিল।
বোনটি এগার
বছর বয়সে মারা যায়। কাওয়াবাতা মাত্র সাত বছর বয়সে দাদিকে হারান, আর
দাদা যখন মারা যান তখন তিনি মাত্র পনেরো বছর বয়সের এক কিশোর। একসময় তিনি সব নিকট আত্মীয়কে হারিয়ে তাঁর মায়ের পরিবারের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন এবং কিছুদিন পর একটি
আধুনিক বোর্ডিং হাউজে
চলে যান।
কাওয়াবাতার বেশিরভাগ লেখার মধ্যেই জীবনের
গভীর একাকীত্ব ও দূরত্বের কথা মেলে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা
যায় যে তাঁর চরিত্রগুলো তাদের নিজেদের চারপাশে একাকীত্বের এক সুবিশাল
দেওয়াল তুলে রেখেছে। তিনি তাঁর জীবন সম্পর্কে লিখতে গিয়ে বলেছিলেন, কখনো রোমান্টিক অর্থে কোনো
নারীর হাত স্পর্শ করেননি। নিজের সম্পর্কে নিজেই
প্রশ্ন করেছেন, “আমি কি এমন একজন সুখী লোক যার শুধু দুঃখই
প্রাপ্য?” যদিও আক্ষরিক অর্থে একথা বোঝানো না হলেও এটাই সত্যি
যে কাওয়াবাতা সর্বদাই এক ধরনের মানসিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন। সম্ভবত কিশোর বয়সের দু’- দু’বার বেদনাদায়ক হৃদয়-ভাঙা প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে সেটা ঘটেছিল। বিশেষত কুড়ি বছর বয়সের হাতসুয়ু ইতোর সঙ্গে অত্যন্ত বেদনাদায়ক প্রেমের সম্পর্কের
কথা তিনি কখনই ভুলতে পারেননি। সম্প্রতি তাঁর বাসভবন কামারুকা থেকে তাঁর
অপ্রেরিত কিছু প্রেমপত্র খুঁজে পাওয়া গেছে।
এ থেকে অনুমান
করা যায়, প্রেমঘটিত কী ধরনের যন্ত্রণা তিনি ভোগ করেছিলেন।
কাওয়াবাতা টোকিও ইম্পেরিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের
দাই ইচি কোটো গাক্কো (প্রথম উচ্চ বিদ্যালয়) পরীক্ষা পাশ করার আশায় যখন টোকিওতে যান,
তখন তাঁর বয়স আঠারোর মতো এবং সেখানে গিয়ে তিনি ইংরেজি বিষয়ে
পড়ালেখা শুরু করেন। এরই মধ্যে কিকুচি সাহিত্য
পত্রিকায় তাঁর ‘বেঞ্জু সুঞ্জু’ লেখাটির জন্য তিনি কিকুচি কান এবং অন্য উল্লেখযোগ্য
লেখক-সাহিত্যিক আর সম্পাদকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সমর্থ হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থাতেই কাওয়াবাতা
টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্য পত্রিকা ‘ঠেং-সিচো’ (চিন্তার নতুন জোয়ার), যা সেই সময় প্রায় চার বছর ধরে বন্ধ
ছিল, সেটিকে পুনরায় চালু করেন। তাঁর প্রথম ছোটগল্প ‘সকনশাই ইকি’ (ইয়াসুকুনি ফেস্টিভাল থেকে একটি দৃশ্য)
প্রকাশিত হয় এই পত্রিকায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায়
তিনি জাপানি সাহিত্য নিয়ে
পড়ালেখা শুরু করেন এবং ‘জাপানি উপন্যাসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস’ নিয়ে গবেষণাপত্রটি লেখেন। ১৯২৪ সালের অক্টোবর মাসে কাওয়াবাতা, কাতাওকা তেপি, ইওকমিতসু
রিচি এবং আরও কিছু তরুণ লেখক মিলে ‘বুঙ্গি জিদাই’ (শিল্পের বয়স) নামে
একটি নতুন সাহিত্য জার্নাল প্রকাশ করা শুরু করেন।
এই জার্নালটি জাপানি পুরনো
ধারার সর্বহারা সাহিত্য আন্দোলনের বিরোধিতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল।
গ্রাজুয়েশন লাভের পরেই কাওয়াবাতা তাঁর ছোটগল্পগুলোর জন্য অত্যন্ত বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। বিশেষত ‘দা ডেন্সিং গার্ল অফ ইজু’ নামের ছোটগল্পটি
- যেখানে আমরা দেখতে পাই একটি দুঃখী
ছাত্র যখন ইজু উপত্যকা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল তখন সেখানে একটি অল্প বয়স্ক নর্তকীর সঙ্গে
তার দেখা হয় এবং সে পরবর্তীকালে অত্যন্ত প্রফুল্লচিত্তে টোকিও থেকে ফিরে আসে। এই গল্পে আমরা তরুণ-তরুণীদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বসিত ভালোবাসার বিষাদময়তা
আর তিক্ততা যেমন দেখতে পাই, একইসঙ্গে গভীরতম প্রেমময় কামনার উদ্ভাসও লক্ষ্য কর। কাওয়াবাতার বেশিরভাগ লেখার
মধ্যেই সম্পর্কের এক বিস্ময়কর
আলোছায়াময় নিগূঢ়তা লক্ষ্য করা যায়।
জীবনের আরেকটা স্তরে কাওয়াবাতা আসাকুসা
শহর থেকে কামাকুরাকানা গাওয়া এলাকায় স্থানান্তরিত হন।
এখানে আসার
পর প্রথম দিকে তিনি যুদ্ধের চলমান বছরগুলোতে সেই শহরের লেখক ও সাহিত্যিকদের সাথে
খুবই সক্রিয় সামাজিক-জীবন উপভোগ করেন। কিন্তু পরবর্তীকালে তিনি
স্বভাবগতভাবেই অত্যন্ত বিচ্ছিন্ন জীবন কাটিয়েছেন।
এরপর তাঁর
সবচেয়ে বিখ্যাত উপন্যাস ‘স্নো কান্ট্রি’ (বরফের
দেশ) ১৯৩৫ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত কিস্তি আকারে ধারাবাহিকভাবে
প্রকাশিত হয়েছিল। টোকিওর একজন সৌখিন শিল্প-সমঝদারের সঙ্গে
একজন গেইসার কী করে উত্তর জাপানের পাহাড়ি অঞ্চলের বসন্ত শহরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে,
মূলত আমরা তারই বর্ণনা দেখতে পাই ‘স্নো কান্ট্রি’র কাহিনীতে। এই উপন্যাসটি কাওয়াবাতাকে সাহিত্য-জগতে জাপানের একজন প্রধান সাহিত্যিক
হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করে। এডওয়ার্ড সেইডেন স্টিকার কাওয়াবাতার মাস্টারপিস
হিসেবে ‘স্নো কান্ট্রি’কেই উল্লেখ করেছিলেন।
‘মায়নিসী
সিম্বুনে’তে তিনি কথাসাহিত্য প্রকাশের পাশাপাশি একজন রিপোর্টার
হিসেবেও কাজ করতেন। যদিও তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সামরিক বাহিনীর
ব্যাপারে সম্পূর্ণ অনুৎসাহিত ছিলেন, তবু যুদ্ধোত্তর রাজনৈতিক সংস্কারের
ব্যাপারে কিছুটা উৎসাহ দেখিয়েছিলেন। ছোটবেলাতেই সমস্ত নিকটাত্মীয়কে
হারিয়ে কাওয়াবাতা মনে করেছিলেন যে, তাঁর লেখাতে শুধুমাত্র জাপানের যুদ্ধোত্তর প্রতিবেশের অবর্ণনীয়
দুঃখ কষ্টের বিবরণগুলোই উঠে আসবে। কিন্তু অনেক সমালোচকই তাঁর যুদ্ধপূর্ব এবং যুদ্ধোত্তর লেখার মধ্যে সামান্যই বিষয়ভিত্তিক পরিবর্তন
ঘটেছে বলে মনে করেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে কাওয়াবাতার
সাহিত্যজগতে উত্তরোত্তর সাফল্য আসতে থাকে।
তাঁর বিখ্যাত উপন্যাসগুলো হচ্ছে ‘থাওসেন্ড ক্রেন্স’ (একটি নিষিদ্ধ
প্রেমের কাহিনী), ‘দা সাউন্ড অফ দি মাউন্টেন’ (পাহাড়ের শব্দ), ‘দা হাউস অফ দা স্লিপিং
বিউটি’, ‘বিউটি অ্যান্ড
স্যাডনেস’ এবং ‘ওল্ড ক্যাপিট্যাল’ (প্রাচীন রাজধানী)। তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধোত্তর রচনার মধ্যে ‘থাউসেন্ড
ক্রেন্স’ এবং ‘দা সাউন্ড অফ দা মাউন্টেন’ অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য।
‘থাউসেন্ড ক্রেন্স’ মূলত চা-উৎসবকে ঘিরে
একটি আশাহীন ভালোবাসার গল্প। গল্পের নায়ক কিকুজি আসলে তার
বাবার জীবনচক্রের মধ্যে আটকা-পড়া একজন মানুষ। সে তার মৃত পিতার প্রেমিকা মিসেস ওটার প্রতি আকৃষ্ট
হয় এবং একসময় অবৈধ যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।
কিন্তু পরবর্তীকালে
দেখা যায়, মিসেস ওটা অনুতপ্ত হয়ে আত্মহত্যা করছে। ফলে, কিকুজি মিসেস ওটার মেয়ে ফুমিকোর প্রতি আরও
বেশি করে অনুরক্ত হয়ে পড়ছে। এখানে আমরা দেখতে পাই,
আপাতদৃষ্টিতে
অত্যন্ত সুন্দর চা-চক্রের পেছনেই লুকিয়ে আছে মানবজীবনের নিষ্ঠুরতম
অন্তর্নিহিত অজাচার আর অসম্ভব ভালোবাসার একটা গল্প।
অনেকে মনে করেন, কাওয়াবাতা গ্যাস ব্যবহার
করে আত্মহত্যা করেছিলেন। যদিও তাঁর স্ত্রী দাবি করেছেন, কাওয়াবাতার মৃত্যু ছিল দুর্ঘটনাজনিত। স্ত্রী হিডেকোর সঙ্গে জীবন কাটলেও প্রথম যৌবনে
তিনি দু’বার হৃদয়-ভাঙা প্রেমে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ধারণা করা হয়, পরবর্তী
সময়ে আরো একটি পরকীয়া সম্পর্ক তাঁকে আত্মহত্যার পথ বেছে
নিতে প্ররোচিত করেছিল। আবার অনেকে মনে করেন,
ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন। তবে কেউ কেউ মনে করেন, বন্ধু ইয়োকি মিশিমার আত্মহত্যার ব্যাপারটি
সহ্য করতে না পেরে তিনিও আত্মহত্যা করেছিলেন।
বন্ধু ইয়োকি মিশিমার আত্মহত্যাকে সত্যিই
তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি। কিন্তু যেহেতু তিনি তাঁর লেখাতে কখনই আত্মহত্যা নিয়ে উল্লেখযোগ্য কিছুই লিখে যাননি, তাই এ ব্যাপারটি নিয়ে
কিছুই স্পষ্ট করে বলা যায় না। তবে তাঁর জাপানি জীবনীকার তাকিও অকুনু কাওয়াবাতার জীবনীতে উল্লেখ
করেছেন যে, কী করে তিনি দু’তিনশ
রাত একনাগাড়ে মিশিমার আত্মহত্যার দ্বারা অহর্নিশি দুঃসহনীয়ভাবে পরিবেষ্টিত ছিলেন, যা
তাঁর মনকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে শোকাভিভূত করে রাখতো। জীবনের শেষ দিনগুলোতে
তিনি তাঁর বন্ধুদের কাছে বলতেন, বিমানে যেতে যেতে যদি কখনও তাঁর বিমান দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে ক্রাশ করে আর তিনি মৃত্যুবরণ করেন, তাহলে খুব খুশী
হবেন।
নোবেল অনুষ্ঠানে কাওয়াবাতার বক্তৃতার বিষয়বস্তু
ছিল, ‘জাপান, সুন্দর এবং আমার সত্তা’। ওই বক্তৃতায় তিনি মূল
জেন-বৌদ্ধ এবং অন্যান্য বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের তুলনায় জেন-ধর্ম কতটা ভিন্ন, সে সম্পর্কে আলোকপাত
করেছিলেন। জেন ধর্মের শিষ্যদের কঠোর তপস্যার মাধ্যমে নিজেদেরকে ঘণ্টার
পর ঘণ্টা জাগতিক দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পাপকার্য থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজতে হয়। ধর্মাচারের এই দিকটির উপরই কাওয়াবাতা গুরুত্ব আরোপ
করেছিলেন। তিনি জেন ধর্মের সরলতা-চর্চা করার যে প্রবণতা এবং তার ভিতরে
সৌন্দর্যের যে গভীরতা আছে, সেকথাই গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করেছেন। সরলতার ও সৌন্দর্যের উদাহরণ হিসেবে জাপানি বাগানের
প্রাকৃতিক বিশালতার কথা, ইকেবেনা
এবং বনসাইয়ের কথাও উল্লেখ করেছেন। কাওয়াবাতা তাঁর বক্তৃতায় জেন ধর্ম আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনার
সাথে সাথে জাপানের অত্যন্ত বিখ্যাত সব লেখক,
যাঁরা আত্মহত্যা করেছেন,
তাঁদের বিষয়েও স্মৃতিচারণ করেছেন। তাঁর এই বিখ্যাত বক্তৃতার
মাধ্যমেই বুঝতে পারা যায়, কেন তিনি মিশিমার আত্মহত্যার মাত্র দু’বছর পরই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন।
‘স্নো কান্ট্রি’, ‘থাউজ্যান্ড ক্রেনস’,
‘দা সাউন্ড অফ দ্যা মাউন্টেন’ উপন্যাসগুলোর জন্য বিখ্যাত হলেও কাওয়াবাতা নিজে বলতেন, তাঁর শিল্পকে সত্যিকারভাবে
খুঁজে পাওয়া যাবে হাতের পাতার ছোট্ট পরিসরে লেখা কিছু ছোটগল্পে। আত্মহত্যা করবার কিছু আগে পর্যন্ত তিনি লিখে
গেছেন হীরকখন্ডের মতো দ্যুতিময় এমন অনেক গল্প। এই গল্পগুলো যেন স্বপ্নের মতো, কুয়াশার মতো ভালোবাসার
আলো-আঁধারির খেলা। এ যেন সময়ের কথামালা, মৃত্যুর
মতো অমোঘ। একাকীত্ব, ভালোবাসা আর অনুভূতির সূক্ষ্মতা ও কবিতার মতো আবেদন সৃষ্টি করা এক-একটা মহান নান্দনিক,
শিল্পসফল উপাখ্যান।
একটি শিল্পসফল উপাখ্যান...
উত্তরমুছুন