শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১৬

সুজয় চক্রবর্তী

ভাড়াটে বৃত্তান্ত

(১)

-
বুলু
-
বলো
-
সংসার যে আর চলে না! আমার পা যে কবে ভালো হবে, জানি না! দুটো বাচ্চা চোখের সামনে...
-
সবই তো বুছি, আমিই বা কী করব, বলো! না শিখেছি পড়াশোনা, না শিখেছি হাতের কাজ।
-
বলি, তোর শরীটা তো আছে!
-
কী বললে! সবই তো দিয়েছি বেচে, শেষে ইজ্জতটাও বেচে দেব?
-
শোন্, তোর শরী তোরই থাকবে। এই যেমন বাড়ি ভাড়া দেয়, তেমন...
-
তুমি একথা বলতে পারলে?
-
আমি বাধ্য হয়ে বলছি বুলু...

(২)
আগে যখন নতুন ছিল, খদ্দের কম আসতএখন দিনে তিন বেলাই খদ্দের বুলুর।
সংসারের হাল ফিরেছে। স্বামীর পা-ও ভালো হয়ে গেছে। বুলুর নিজের চেহারাতেও এসেছে জেল্লা। বাচ্চাদুটোও আর খিদের জন্য কাঁদে টাদে না।

(৩)

- বুলু
-
বলো
-
বলি, সংসার তো দাঁড়িয় গেছে। আমার পা-ও এখন ভালো হয়ে গেছে। তুই এবার ওসব ছেড়ে দে। আমি কাল থেকে আবার কাজে যাব
বুলু কোনো উত্তর দেয় না। পাশ ফিরেই শুয়ে থাকে।
- ঠিক আছে তো? আর খদ্দের ঢুকতে দিস না।.... কীরে, কথা বলছিস না কেন?
বুলু শুয়ে ছিল। চিৎ হলোতারপর মুখ খুললো।
-
যে বাড়ি একবার ভাড়া দেওয়া শুরু হয়, ফাঁকা থাকলে ভাড়াটে ঠিক খোঁজ নিয়ে সে বাড়িতে লে আসে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন