ভাড়াটে বৃত্তান্ত
(১)
- বুলু
- বলো
- সংসার যে আর চলে না! আমার পা যে কবে ভালো হবে, জানি না! দুটো বাচ্চা চোখের সামনে...
- সবই তো বুঝছি, আমিই বা কী করব, বলো! না শিখেছি পড়াশোনা, না শিখেছি হাতের কাজ।
- বলি, তোর শরীরটা তো আছে!
- কী বললে! সবই তো দিয়েছি বেচে, শেষে ইজ্জতটাও বেচে দেব?
- শোন্, তোর শরীর তোরই থাকবে। এই যেমন বাড়ি ভাড়া দেয়, তেমন...
- তুমি একথা বলতে পারলে?
- আমি বাধ্য হয়ে বলছি বুলু...
(২)
আগে
যখন নতুন ছিল,
খদ্দের কম আসত। এখন দিনে তিন বেলাই খদ্দের বুলুর।
সংসারের হাল ফিরেছে। স্বামীর পা-ও
ভালো হয়ে গেছে। বুলুর নিজের চেহারাতেও এসেছে জেল্লা। বাচ্চাদুটোও আর খিদের জন্য
কাঁদে টাদে
না।
(৩)
- বুলু
- বলো
- বলি, সংসার তো দাঁড়িয় গেছে। আমার পা-ও এখন ভালো হয়ে গেছে। তুই এবার ওসব ছেড়ে দে। আমি কাল থেকে আবার কাজে যাব।
- বলো
- বলি, সংসার তো দাঁড়িয় গেছে। আমার পা-ও এখন ভালো হয়ে গেছে। তুই এবার ওসব ছেড়ে দে। আমি কাল থেকে আবার কাজে যাব।
বুলু কোনো উত্তর দেয় না। পাশ ফিরেই শুয়ে
থাকে।
- ঠিক
আছে তো? আর খদ্দের ঢুকতে দিস না।.... কীরে, কথা বলছিস না কেন?
বুলু শুয়ে ছিল। চিৎ হলো। তারপর
মুখ খুললো।
- যে বাড়ি একবার ভাড়া দেওয়া শুরু হয়, ফাঁকা থাকলে ভাড়াটে ঠিক খোঁজ নিয়ে সে বাড়িতে চলে আসে।
- যে বাড়ি একবার ভাড়া দেওয়া শুরু হয়, ফাঁকা থাকলে ভাড়াটে ঠিক খোঁজ নিয়ে সে বাড়িতে চলে আসে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন