সুইসাইড নোট
শরীরেই জেগে ছিল তাচ্ছিল্যে
ফেরা মুখ
চামড়ায় লেগে খোলা চিঠি
মৃত্যু দিয়ে অখন্ড সমাজ গড়ে
দেব তোকে
বেঁচে যাবে রীতি-সম্প্রীতি
‘হ্যাঁ’ কথার ভানগুলো
লেখা ছিল চোখে চোখে
তাই মাথা নিচু স্বীকৃতি
বিবস্ত্র গঠনেও বুঝে নিতে পারবি না
মানা না মানার আকৃতি...
হুঁশ
শুধু আঘাতেই ইতি
টানা ছিল বাকি
তলোয়ারে দাগছোপ
বরাবর মুছে রাখা আহত পোশাকে
তারপর খুঁজে ফেরা
কুঁজো ন্যুব্জ চোখ
ঢেলে দিতে পরিচিত
পরিহাস
এইসব চেনা খেলা মেখে
দিয়ে দক্ষ হাত
অবাক করেছে আজ
ক্ষত জুড়ে তির্তির্
আঙুলের শোকে...
বাঁচার
তাগিদ
আমার মস্তিষ্ক জুড়ে তখনো আসেনি রাত
না শুয়ে বসে থাকা হিসেবের মাপ আর
জানালার পর্দা বেয়ে সারি সারি পিঁপড়েই
রেখেছিল জাগিয়ে যত না পাওয়ার শংকাদের
ওদের অগ্রাহ্য করে বিপ্লব ঘটিয়ে দেব এমন
সাহস কই দেয় না তো ঘুম?
চোখ খোঁজে সতর্কতা, ঠোঁট চায় আড়ালের ঢাল
জলে দেখা বিপন্নতা চুমুকেই শ্লথ টানে ঢোকে
এভাবেই চাঁদ দেখে কোঁচকানো ভুরু
বারে বারে হাতড়ায় দরজার খিল
বেড়িয়ে আসাটা যেন নিজেরই ভিতর খুঁড়ে
দেহের ভিতর থেকে অসমাপ্ত গোলাগুলি
ট্রিগারের অন্বেষণে-অনুভূত ভঙ্গিমায়
কিছু একটা সৃষ্টিশীল যন্ত্রণায় ছড়িয়ে থাকার...
ভয়
দাঁড়িয়ে থেকেই দ্যাখ
ভোর
ছুঁয়ে দিলে যদি
রোদ্দুর ঝলসায়
ধীরে ধীরে চটি
গলিয়েছো পায়ে
তারপর ঠায়...
বুড়ি চুলে দাও
অভিশাপ
অথচ সমুখে জল
গ্লাস খোঁজো
সময় পেরোয়...
ছাদ বোঝে পায়চারি
চাঁদ জানে দরকারি কথা
রাষ্ট্র বিকিয়ে
গ্যাছে চিৎকার মনে মনে
আলোর সমাজে?
মৌনতা...
ঈশ্বরে অনুরোধ
বসন্ত থেকো বারোমাসে
প্রতিবাদী কাদা জল
ঢেলে দিয়ে নিরাপদ
রঙের মুখোসে...
মুখোমুখি হাতে ফুল
ভালো আছি বিলকুল
চোখের নামাবে ঘুম
কোন সান্ত্বনায়?
আসলটা জানি সখা
ছদ্মনামে মুখ ঢাকা
তাই স্পর্ধা কলমের
অবাধ্যতায়।।
জীবনের কবিতা। প্রকাশভঙ্গী ভালো।
উত্তরমুছুন