সোমবার, ২৩ মে, ২০১৬

বর্ণশ্রী বকসী

অনন্তকাল

শুধু আগুন জ্বলে বুকের গহীনে
প্রজাপতি স্বপ্নের মধ্যে বাস্তবতা 
মাটির শস্যকণা ছুঁয়ে বিমূর্ততা 
কান্নার আর্তরব শাব্দিক বিন্যাসে 
গেঁথে নেয় নীলাভ গরলের সত্য!
অযুত বোধের মাঝে খেলা করে
নতুন নির্মাণের পরিধি,
যে কথারা বেঁধেছিল পথ তোমার 
আর আমার মনের গ্রন্হিতে
সেই চলনে অনন্তকালের অনুভূতি 
সংকেত শেষে আবহ সংগীত বাজে
নিরালায় ধ্বনিত অজানা সুরের রেশ।


সিসিফাস

দিন বদলের সূচনা বিন্দু থেকে 
দৌড় শুরু, কর্দমাক্ত পথ চলা
বিধাতা পুরুষের অভিশাপের ফল
সংক্রামিত এক পর্ব থেকে আরেক
পর্বে। বিশাল পাথর ঠেলে কেবলি
ওপরে ওঠা...
জমা শ্যাওলা ঝরে গেছে বহু আগে
সময়ের ঘড়িতে বিষণ্নতার স্পর্শ

শীর্ষে উঠতে গিয়ে হড়কে নেমে আসা
অনেকটা নিচে তবুও চলতে থাকে
সিসিফাসের উচ্চতাকাঙ্ক্ষী প্রচেষ্টা 
চলতেই থাকে...

সেতু

ব্যস্ততম শহরের বুকের ওপর ঝুলে থাকে সে
কিছুটা সম্ভ্রমের দৃষ্টি ছুঁড়ে দিয়ে যায় পথিক
নির্মাণের খেলায় ভেলা ভাসে, ভেসে যায় স্বপ্নও?
সকাল গড়িয়ে নামা দুপুরে খুলে যাওয়া নাটবল্টু
আছড়ে পড়ে চলমান হৃৎপিন্ডে, প্রবল স্রোত
আর্তরব ভেসে যায় বিচ্ছিন্নতার পাঁজর জুড়ে,
রক্তখেকো রাস্তায় থ্যাতলানো শরীরে কান্না
জাগে, ভয়ার্ত সভ্যতা শুধু তর্ক যুদ্ধের দামামা
বাজাতে থাকে হেঁটে চলা সময়ের কূলে।


মনন

আকাশের মাঝে ঝুলে থাকা চাঁদের সৌন্দর্য
ছিঁড়ে দিয়ে যায় চিন্তার বপিত বীজপত্র
এ বসন্ত বড়ই উদাসী, প্রকৃতি বাউলের
একতারা আর ঘুঙুরের বোলে ভাসমান!
অর্ঘ্যের থালা হাতে দাঁড়ানো বালিকা জানে
অণু অণুতে ছড়িয়ে পড়া প্রণয়ের বিষে
কেবলই ডুবে যাওয়া নাবিকের খোঁজ,
অগুন্তি তারায় গাঁথা নকশি কাজের কারুকৃতি।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন