অরণ্য পথের রূপকথা
শুভংকর মনে করে ওর বুকে একটা অরণ্য আছে। পাতা ঝরার শব্দ পায় ও। যেমনটা পেয়েছিল ওর মা বাবার মৃত্যুর সময়। মনে হয়েছিল একটা একটা করে পাতা ঝরে পড়ছে। সমস্ত অরণ্য জুড়ে সেদিন শীতকাল ছিল। সবুজ পাতার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিল বার্ধক্য। কান পেতে শুনেছিল শব্দের আনাগোনা। গুছিয়ে নিয়েছিল নিজেকে। অকাল বার্ধক্য কেমন হয় জেনেছিল শুভঙ্কর। অপেক্ষা করেছিল দিনগুলোর যা গ্রীষ্মের মতো তপ্ত। যার দহন জ্বালায় জ্বলে যাচ্ছিল শুভঙ্করের যুবক আত্মা।
মনামীর মনে হয় একটা রাস্তা ওর ভেতর এগিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। একদিন শুভংকার নামী একটি ছেলে হেঁটে গেছিল এ পথ ধরে। তার আগেও অনেকে গেছে এ পথে, শুধু ছাপ রেখে যেতে পারেনি। ও শুভঙ্করকে যেতে দিয়েছিল। ভেতরের আলপথ তখনো কাঁচা, নরম, পলি পড়া। মনামী একাকীত্ব ভালোবাসতো।
শুভঙ্করের সাথে এক শরৎকালে দেখা মনামীর। সেদিন অরণ্যের ভেতর ঘরে তৈরি হয়েছিল এক উদ্দেশ্যহীন পথ। ওরা বোঝেনি পথের কোনো আস্তানা হয় না। যেমন করে অরণ্য কোনোদিন বিলিয়ে দেয় না নিজেকে।
কিছু কিছু নুড়িপাথর পথের ধারে পড়ে থাকে ভাঙা স্বপ্নের মতো। নিজেকে কুচিয়ে, পায়ে পায়ে এগিয়ে যায় তারা। ওদের হিংসে হয় অরণ্যকে। গভীরতা মাপার অছিলায় ওরা শুধুই বিষাদ বপন করে।
শুভঙ্কর চেয়েছে মনামীর পথ যেন আরো ব্যপ্ত হয়ে ওঠে। ঠিক যেমন মনামী চায় আরো গভীরতা আরো তীব্র গহন সুখে ডুবে যাক শুভঙ্করের লালিত অরণ্য।
তবু অক্ষরেখা বরাবর এক অজানা মন খারাপ কাজ করে, এক ধরনের সুগন্ধী বিষাদ ওদের ঘিরে রাখে। পড়ন্ত বিকেলের সূর্যস্নান সেরে ওঠা ওদের মন, স্পর্শ করে ওদের আলোকিত গ্রীবা, ঠোঁট, হাত। এরপর এগিয়ে যায় বিচ্ছেদের জন্য।
শুভঙ্কর আর মনামীর ভেতর ঘরে আজকাল প্রতি রাতে প্রদীপ জ্বলে, আর ওরা মিশরীয় মমির মতো আগলে বসে থাকে অবৈধ প্রেমের মৃতদেহ।
শুভংকর মনে করে ওর বুকে একটা অরণ্য আছে। পাতা ঝরার শব্দ পায় ও। যেমনটা পেয়েছিল ওর মা বাবার মৃত্যুর সময়। মনে হয়েছিল একটা একটা করে পাতা ঝরে পড়ছে। সমস্ত অরণ্য জুড়ে সেদিন শীতকাল ছিল। সবুজ পাতার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিল বার্ধক্য। কান পেতে শুনেছিল শব্দের আনাগোনা। গুছিয়ে নিয়েছিল নিজেকে। অকাল বার্ধক্য কেমন হয় জেনেছিল শুভঙ্কর। অপেক্ষা করেছিল দিনগুলোর যা গ্রীষ্মের মতো তপ্ত। যার দহন জ্বালায় জ্বলে যাচ্ছিল শুভঙ্করের যুবক আত্মা।
মনামীর মনে হয় একটা রাস্তা ওর ভেতর এগিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। একদিন শুভংকার নামী একটি ছেলে হেঁটে গেছিল এ পথ ধরে। তার আগেও অনেকে গেছে এ পথে, শুধু ছাপ রেখে যেতে পারেনি। ও শুভঙ্করকে যেতে দিয়েছিল। ভেতরের আলপথ তখনো কাঁচা, নরম, পলি পড়া। মনামী একাকীত্ব ভালোবাসতো।
শুভঙ্করের সাথে এক শরৎকালে দেখা মনামীর। সেদিন অরণ্যের ভেতর ঘরে তৈরি হয়েছিল এক উদ্দেশ্যহীন পথ। ওরা বোঝেনি পথের কোনো আস্তানা হয় না। যেমন করে অরণ্য কোনোদিন বিলিয়ে দেয় না নিজেকে।
কিছু কিছু নুড়িপাথর পথের ধারে পড়ে থাকে ভাঙা স্বপ্নের মতো। নিজেকে কুচিয়ে, পায়ে পায়ে এগিয়ে যায় তারা। ওদের হিংসে হয় অরণ্যকে। গভীরতা মাপার অছিলায় ওরা শুধুই বিষাদ বপন করে।
শুভঙ্কর চেয়েছে মনামীর পথ যেন আরো ব্যপ্ত হয়ে ওঠে। ঠিক যেমন মনামী চায় আরো গভীরতা আরো তীব্র গহন সুখে ডুবে যাক শুভঙ্করের লালিত অরণ্য।
তবু অক্ষরেখা বরাবর এক অজানা মন খারাপ কাজ করে, এক ধরনের সুগন্ধী বিষাদ ওদের ঘিরে রাখে। পড়ন্ত বিকেলের সূর্যস্নান সেরে ওঠা ওদের মন, স্পর্শ করে ওদের আলোকিত গ্রীবা, ঠোঁট, হাত। এরপর এগিয়ে যায় বিচ্ছেদের জন্য।
শুভঙ্কর আর মনামীর ভেতর ঘরে আজকাল প্রতি রাতে প্রদীপ জ্বলে, আর ওরা মিশরীয় মমির মতো আগলে বসে থাকে অবৈধ প্রেমের মৃতদেহ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন