নিরুদ্দেশ
সম্পর্কিত ঘোষণা
খবরের কাগজের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় হারানোপ্রাপ্তি-নিরুদ্দেশ কলমে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তি— “নামঃ বিকেল, বয়সঃ আনুমানিক এক কিশোরবেলা। বেশ কিছুদিন যাবৎ নিরুদ্দেশ।
আচরণে বিশেষ অসঙ্গতি ছিল। খসখসে গ্রীষ্মে দুপুর শেষেও
শীর্ণ মহানন্দা থেকে চুঁইয়ে আনত
বাতাস। আর শীত বিকেলে উপেক্ষাও থাকতো লাল পশমে মোড়া। শেষবার যখন দেখা গিয়েছিল পরনে ছিল কমলা
রঙের পোশাক। অলস বট গাছটার মাথায়, উঁচু বাড়িটার কার্নিশ ছুঁয়ে গড়িয়ে গিয়েছিল শহরের পথ বেয়ে।
রুক্ষ চিবুক, সবজে মাঠ, স্কুলফেরতা
পিঠব্যাগ আর ব্যালকনিতে দাগ ছিল... কোনও সহৃদয়
ব্যক্তি সন্ধান পেলে জানাবেন। যাপনের ক্লান্তি শেষে আনমনা চলনের স্বার্থে প্রয়োজন...”
বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশের মাসাধিক কালের পর বিজ্ঞাপনদাতা যে
চিঠিটি পেলেন-- “নমস্কার নেবেন। আপনার বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করা বিকেল আমার অতীব
পরিচিত। নিজের খেয়ালে থাকতে ভালোবাসা ওই কিশোরের সাথে আমার আলাপ শৈশবেই। আপনি বলার আগে খেয়াল হয়নি, সে বহুদিন
নিরুদ্দেশ। এমনকি শৈশবেও সে অধরা। আমার
সন্তানের সাথে তার পরিচয় নেই। সকাল আর রাত্রির মধ্যে এখন গোধুলি শুধুই ক্যামেরার ফ্রেমে। তবে আপনাকে
খানিক ইঙ্গিত দিতে পারি। সে হারায়নি। থেকে গেছে আমার ভিটেতেই। আমি তাকে লুকিয়ে
রাখি কুলুঙ্গিতে। শব্দ যখন অসহ হয়, শাসকের দাবিতে ঢাকা পড়ে পূরবী, আমি নামিয়ে আনি বিকেলকে। নাড়াচাড়া করি, শ্বাস নিই প্রাণভরে।একটু
খুঁজে দেখুন তো, আপনিও!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন