কবিকথা
আমি বাঁশবনের শিয়াল রাজা
লেজটা নাচাই সুখে
চারটে-দুটো কলম ভেঙে
কাব্য করি মুখে।
কবি হবো এমন সাধ্য
আমার স্বপ্নাতীত
ধরি মাছ না ছুঁই পানি
খেলছি চু-কিৎ-কিৎ।
জীবন যুদ্ধের মতো ক্লিসে
আমার রঙে রঙিন হবে আকাশ
আমার গন্ধে ডানা মেলা পাখি
আমার সবুজ সবার থেকে ভিন্ন
বকুল–যুঁথির স্বপ্নে জরাজীর্ণ।
চাইলে আমি সকাল গাইবে মেঘ
ভিজলে আমি নামতা পড়বে বৃষ্টি
সব কথাতে মিশবে আবির শব্দ
ঢেউ ফণাসাপ বেজায় হবে জব্দ।
কাল কেউটের বিষে ভরা বাঁশি
দিন হারালে নিবিড় তোমায় খুঁজি
শাল মহুয়ার হিজল পাতার ফাঁকে
মধ্য রাতের চাঁদ ডাকতে থাকে।
চাওয়া পাওয়ার এই যে ইচ্ছে বালি
লক্ষ সুখের কান্না খুঁজে আনে
কালি শেষে কলম ইতি লেখে
হিমঘরে যাই মৃত্যুদন্ড রেখে।
লে-লবডঙ্কা
ভোটে সায়, জোটে সায়
জনগণ হায়-হায়
আর কত বোকা ওরা বানাবে!
রাজনীতি করে যারা
কেত্তনে পেটে ঢ্যাঁড়া
দেশটাকে বেচে খেয়ে পালাবে।
এখনো তো আছে মান
হও সবে সাবধান
সর্ষেতে ভূত থাকে
জানবে
রাম-ও গেলে লঙ্কায়
দেশটার করে ক্ষয়
দশানন হয়ে সীতা লুটবে।
রোজ দেখে ক্লান্ত
এ শহর প্রান্ত
ভরপুর বেওয়ারিস লাসেতে।
কত কথা দেয় নেতা
পর-ধনে করে কেতা
দরকারে থাকেনা তো পাশেতে।
তবু ওরা যোদ্ধা
আমি বোকা বোদ্ধা
লিখি শুধু কান্নার কলমে -
যদি কেউ একটা
ভালোবেসে দেশটা
বৃষ্টিটা এনে দেয় গরমে,
সবে গাব জয়গান
যাক তাতে যায় প্রাণ
নেতা করে রেখে দেব মরমে।
হা-রাম হা-রাম
জনদরদী বন্ধুরা সব
ঘুরছে এখন ঘরে-ঘরে
জিতলে ভোটে, করবে খেলা
যেমন খেলে পুলিস চোরে।
ওদের টিকি ধরতে তখন
পুড়বে অনেক কাষ্ঠ-খড়
বাদ-বিবাদে আলাদা হবে
শরীর থেকে মুন্ডু-ধড়।
এখন কেঁদে পায়ে ধরবে
হেসে-হেসে বলবে দাদা
সময় এলে মাথা মুড়িয়ে
চাঁদা তুলে বানাবে গাধা।
অধিকারের অজুহাতে
তবু আমরা টিপব বোতাম
কপাল চাপড়ে কাঁদতে কাঁদতে
বলবো সবাই হা-রাম, হা-রাম!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন