পাথরের ফুল
লাঙলের ফলা ভেঙে খান খান
হলো
পাথরের গায়ে কৃষক ঢেলেছে জল
এ-মাটিতে ঘাস, ফলাবে স্বাদের ফলও
অজানা দূরের পথখানি
উজ্জ্বল।
পাথরের দেহ একদিন ফেটে ঠিক
মেলবে শেকড় ফসলের চারাগাছ
স্বপ্নটা তার ছিল না মোটে
অলীক
পেয়ে গেছে ইঙ্গিতে কিছুটা
সে আঁচ।
একদিন ফুল পাথরের বুকে ফোটে
সুখবর যায় দূর থেকে আরো
দূরে
খুশিতে কৃষক ফসলের মাঠে
ছোটে
ফুটে আছে ফুল ক্যাকটাস-বুক
জুড়ে।
অন্ধকারের দেওয়াল ভেঙেছি কাল
দস্যুতা করে ছিনিয়ে এনেছি আলো
ঝলমল করে জ্বলছে নতুন সকাল
হামাগুড়ি দিয়ে দানবেরা পালালো।
ভোরের আকাশে মেলেছিল মেঘডানা
সমূহ ঝড়ের সঙ্কেত শুনে ভীত
লোকালয়ে বাজে শঙ্কা, ঝড়ের হানা
ক্রমে ক্রমে সেটা
হচ্ছিল শুধু স্ফীত।
অতিকায় সেই দানবীয়
মেঘটাকে
সমূলে হেঁচকা নামিয়ে এনেছি মাঠে
মেঘ-শবে স্বাদ
শকুনের দল চাখে
রাইফেল হাতে নতুন
শকুন হাঁটে।
দুপুর বিকেল গড়িয়ে
সন্ধ্যা নামে
শকুনের পর শকুন
এসেছে আরো
ফসলের মাঠ মুক্ত
হয়েছে ঘামে
ফসল বুনেছি
পুন্ড্র-হরপ্পারও।
আবার এসেছে রাতের
অন্ধকার
বাদুড়ের দল
ড্রাকুলার মতো ওড়ে
চেনা মুখগুলো পর
হয়ে যায়, আর
রাতের আঁধারে শ্বাপদের মতো ঘোরে?
কত রঙমাখা দেখি যে মুখোশ হাঁটে
ক্ষণে ক্ষণে দেখি
মুখোশও পাল্টে যায়
মুখ ঢেকে কেউ
স্বজনের গলা কাটে
স্বজনেরা এই
রাত্রিতে অসহায়।
বড় হতে হতে রাত হয়ে
যায় নদী
নদীর ওপারে ভোরের
সূর্যোদয়
মুখোশগুলোকে ভাসিয়ে
না দিই যদি
ভোর থেকে যাবে
সুদূরের বিস্ময়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন