বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৬

অনিন্দিতা গুপ্ত রায়

সেফজোন

(১)  

অন্ধকার বুনতে বুনতে
অনাহত চক্র আরো লাল
ভারী করে তোলে এমনকি ছায়া   
গোলাকার পৃষ্ঠতল-- ওপর থেকে স্পর্শ ও নিরাময়  
চোরপুলিশ খেলায় একে অন্যের পেছনে
যেন হাতঘড়ি, দিনরাত রাতদিন
দুটো কাঁটার দৌড়বাজি
আর ওই অবধি অনিচ্ছুক দড়ি টেনে নত মাথা  
উৎসুক খড়্গের দিকে ভয় বিস্তারিয়া রাখিয়াছে
এসময়ই রিখটার স্কেল চুপি চুপি মেপে নিল
কেন্দ্রের কতটা নিকট বসে ছিলে
স্থানীয় খবর থেকে ঠিক কতদূর  

(২)   

অগ্রপশ্চাৎ না ভেবেই অতঃপর গন্ডি কাটলেন
আর গন্ডির ভেতর প্রতিমা স্থাপন করে ভাবলেন— নিরাপদ হে,
সামলে রেখো জোছনাকে
মাধুকরী ছলে, বলে, কৌশলে
কখন শরীর ফুঁড়ে ছায়া বড় হয়
শিকারের পিছু নিয়ে নিজেই বধ্য কোনোখানে  
তার জন্য মহাকাব্য লিখতে বসেছি, এতটাও আহাম্মক নই
মাঝখানে সসাগরা ক্ষিধে নিয়ে, হাততালি নিয়ে
ঢেউ উঁচু হয় আর ঢেউয়ের ভেতরে বালিঘড়ি ঝরঝর
কাঠবেড়ালিটি বাদাম কুড়িয়ে নিয়ে ফিরে যায় কোটরের খাদে



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন