স্তুতি
জলের সিঁড়ি ভাঙ্গে
দুর্বাসা সময়
উৎসবে মাতে আগন্তুক
কোমল গান্ধার তার
খাঁজে খাঁজে
আরোহী অবরোহী
বিবাগী বাতাস কাঁদে
মন্দ্র সপ্তকে
বিহ্বল ভাবনারা ফিরে যতিচিহ্ন খুঁজে
সময়ের পঙতিমালা
হেঁটে যায় আকবরী সরোদে
বিবস্ত্র সংযম নেশায়
বুঁদ হয়ে পড়ে থাকে সফেদ ডিভানে,
রাতের ক্লেদ তাকে
পরাস্ত করে না
ক্লান্তি কিছুটা
ছুঁয়ে যায়
মায়াময়ী ঊষার হাতের
আঙুললেগে থাকে ঠোঁটে, গালে, চিবুকে
এইসব স্খলিত জীবনের
অর্ঘ্যে
সাজে তোমার দেউল
দেউটি জ্বলে না
তৃষ্ণার বিনাশে
বাজুকপ্রাণের সঞ্চারী
তোমার স্তুতিতে আমি
প্রণত হই।
বিক্ষিপ্ত
রবাহুত
ধীবর আমি বসে থাকি
ছুঁড়ে দেওয়া দু’আনা আঁকড়ে আমার সর্বস্ব দিয়ে
উৎকট বরাহ
চিবোয় গাদা, পেটি, তোমার শরীর
আশাবরী
পাখি ডানা ঝাপটায় কোথাও
মেঘনাদের
হস্তক্ষেপ চেয়ে আমি প্রণত হই
হে
আমার আফ্রোদিতি, চল আমরা ইথাকায় ফিরে যাই
বুনো
টিয়ার দল শীস দিতে দিতে পথ দেখাক
চল
অমিয়া আমার হাত ধর,
শীস দিতে দিতে ফিরে যাই স্বপ্নের ইথাকায় –
শুনশান
দুপুরের মতো, তিতির জলের মতো
স্থানু
বৈরাগ্য নিয়ে, আমি আমার মতোই বেশ তো
ছিলাম
মৌনী তাপসীর মতো একাগ্র ধ্যানে তুষ্ট করে,
মৌনী তাপসীর মতো একাগ্র ধ্যানে তুষ্ট করে,
সেই যে ডাহুকের মতো এক ছো -
তারপর
সব খুবলে নিয়ে
সেই
যে নিরুদ্দেশ -
আমার শান্ত দিঘিতে আজ সমুদ্র গর্জন
শিকার শিখব আমিও,
আমার শান্ত দিঘিতে আজ সমুদ্র গর্জন
শিকার শিখব আমিও,
শেখাবে
কেঁচ ভুক মৃণের ঝাঁক
কেঁচ ভুক মৃণের ঝাঁক
কিংবা
তৃণভোজী মৃগনযনিদের
লোভের
আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়ে
নিশ্চিন্তে এগিয়ে নিয়ে যেতে
নিশ্চিন্তে এগিয়ে নিয়ে যেতে
চরম
সমাপ্তির দিকে
আমার
একটা বাঁশি চাই,
মোহন
মুরলী আমার
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো, অনেকটা –
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো, অনেকটা –
তবে ‘যারা হাটকে’
এমন ধুন বাজাব
এমন ধুন বাজাব
যাতে
নাচবে পাখোয়াজ হাজার বৃন্দাবনী
মদিরা মাতাল টানে পাতাল প্রস্থান হাজার উর্বশীর
কোথায় সে বাজিকর শেখাবে আমাকে
মদিরা মাতাল টানে পাতাল প্রস্থান হাজার উর্বশীর
কোথায় সে বাজিকর শেখাবে আমাকে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন