মগ্নতার সমর্পণে কলপুতুল
মগ্নতা
তোমার মগ্নতা আমায় খুলে দিও
মৃত্যুর কাছাকাছি অনেকগুলি স্তর আছে
মাঝে মাঝে স্তব্ধতার মাঝে বিশ্রামের অবকাশ থেকে যায়
হওয়ায় ভাসমান অক্সিজেন,
সূক্ষ্ম গ্রহণের মাঝে কোনো সাড়া নেই
তবুও তো খোলসের মাঝে বেঁচে থাকা যায়।
প্রখরতা ব্যথা দেয় বেশি,
যে সব দাগগুলি
হৃদয়ে বসে আছে
আসলে মনের গলনে তারা ব্যথা ধরে নেয়।
আর ছুটতে ভা্লো লাগে না- হঠাৎ চীৎকারে
নিজের অস্তিত্বের কথা আর জানাতে ভালো লাগে না।
কিছু হাওয়া, কিছু ঘাস, বেঁচে থাকতে যদি কিছু খেতে না হতো!
তীক্ষ্ণতা থেকে তবু তোমার চিবুকে আমার হাত যেত,
নির্জনতা খুঁজে শরীর ভাঁজে হাত রাখা যেত।
সমর্পণ
আঁধার কিম্বা নির্জনতা তবু খানিকটা সমর্পণ দেয়।
অচিন, পরদেশ তোমাকে ভালোবাসার হাতছানি
দেয়,
নিজেকে গোপনে রাখার ইচ্ছেগুলি তবু স্বতঃসিদ্ধ-
জব্বর দাগ না রাখার মানসিকতা তুমি হারিয়ে ফেলেছ।
তাই কুক্ষিগত ইচ্ছেগুলি নড়েচড়ে ওঠে,
সাপের মন্ত্র, বেদেনী তুমি তো জানো,
ঝারাবিষ মন্ত্র কথায় পার যদি দেহ নাচা সুর তুলো,
পুরুষের মাঝেও তুমি মুক্ত যেন, শরীর যখন মুক্ত,
পুরুষের মাঝেও অনাঘ্রাত প্রেম নেই জেনো।
কলপুতুল
একটা রাজপ্রাসাদ চাই— আমি খেলব বলে,
বস্তুত খেলার নামান্তরই তো সংসার।
ছোটবেলার মানসিকতাগুলি হারিয়ে যায় না জানি-
পাশাখেলায় হারিয়েছি তো অনেক কিছু
পুতুল বরের মতো তবু প্রাণকল নড়ে ওঠে—
অযথা কিছু মন সংযোজন হয়।
শয্যা’পরে আসে খেলার আমন্ত্রণ,
রং ঢঙ মিলে একাকার, নাকি পঙ্কে পদ্ম ফুটল?
তুমি বলবে মানবতা, আমি বলব নাটক,
তুমি বলবে ভালোবাসা, আমি বলব বিরহ,
তুমি বলবে ত্যাগ, আমি বলব তিতিক্ষিত,
কোনোটা ছাড়া মুক্তি নেই জানি—
কিন্তু শেষটা তো একই মত বিবর্ণ ওসার বালিশ,
পরিত্যক্ত শিয়র গামছার পুরনো ঘ্রাণ-
জীর্ণ প্রাসাদে আবার রং লাগাতে হবে জানি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন