ডানা
যেন নাৎসি জার্মানীতে জন্মেছি ইহুদী হয়ে,
প্রতিটা মুহূর্ত অনিশ্চয়তার
প্রতিটা মুহূর্ত আঁধারের
যখন সামনে-পিছনে-কোনোদিক থেকে
কোনো স্যাঁতসেঁতে দেশলাই জ্বালানোর
আওয়াজটুকুও কানে আসে না,
কোথাও যেন মানুষেরা উন্মত্ত খুব—
তাদের মদোল্লাস আরো জটিল করে তোলে
এই ক্রীটসর্বস্ব প্রহেলিকা,
শিশুর মতো দোল খায় প্রেম
আর অন্ধের পথ হেঁটে চলি
কোনো ফ্যাকাসে বিচ্ছিন্নতার দিকে,
চড়া জ্যোৎস্না আর গোলাপের রঙে রাঙানো
পুতুলগুলোকে ভিখারী হাতে
একটু মোম চেয়ে ফিরি-একটু মোম,
আর কিচ্ছু না—
আলফাজ
ছড়িয়ে পড়া আলোর উন্নতি বেয়ে
বুভুক্ষা-বিভোর কোনো কৃষকের গল্প—
ঝরে পড়ে তোমার দু’ঠোঁটের ফাঁক থেকে
অজস্র মুক্তোর মতো। আর আমি,
শুনে যেতে চাই আরো আরো—
কেমন উপভোগ্য হয় বেকারত্বের জ্বালা,
কতটা বিনোদন থাকে ধর্ষণের ভেতর
কিংবা ধর্মের নামে উদার বলিগুলো
তোমার মুখ থেকে শুনে যেতে চাই
বাঙ্ময় আলোমালার সুরে।
তুমি থেমো না — জেগে আছি রাতভর
সমস্ত রক্তাক্ত সোনায় বদলের আশায়,
তুমি থেমোনা — জেগে আছে কবর
আলফাজ দিয়ে মশাল জ্বালার নেশায়।
শূন্যফুল
খুব নরম উজাগর রাতগুলো
মহাকালের পাপড়ির মতো
নাড়াচাড়া করি আলতো নেশায়—
ঝরে যাওয়া রঙেদের শেষে
আঁধার আছে — এক সুখী আঁধার
বয়ে আনা অচেনা নারীঠোঁট,
পরতে পরতে সুরভি খুলে যাওয়া
সমুদ্র কোথাও তো নিশ্চুপ হয়
আর উপলব্ধি করে শান্তির স্পর্শ,
ভ্রূকুটিতে লিখে রাখা প্রেম
উড়িয়ে দিই আলগা নৈঃশব্দে—
এক মহাশূন্যতা বুকে নিয়ে
আমি নিজেই ফুল হয়ে উঠি,
সমগ্রতা জুড়ে — এক বিশাল ফুল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন