বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৫

ডাঃ দেবপ্রিয় সমাদ্দার

নামহীন

এক একটা দিন চিলেকোঠার মতো উত্তেজক,
এক একটা রাত ছিল ধেনো মদের মতো, নিজের।
ঐ চুরানব্বইতেই ঐশীর গায়ের গন্ধ মেখে
আমার প্রথম অস্তিত্বের যুদ্ধজয়;
আমার চোখে অদ্ভুত আতর চারপাশ বেশ সুন্দর দেখায় তাতে।
রোজ সেই নিয়ম ভাঙা আর্গুমেন্ট ছিল,
ঐশীকে প্রশ্ন করতাম অনেক অনেক
শ্রেণী সংগ্রাম থেকে আমাদের ভবিষ্যতে পোষা কুকুরের নাম
সব কিছুই ছিল বিকেলের ভবিতব্য।

ঐশী,
দেখো এখন পাকস্থলী চলছে তার চেনা ছকে
তুমি, আমি চলছি আমাদের তৈরি পৃথিবীর রাস্তায় রাস্তায়,
নামহীন হয়ে

রাতটা কেটে গেলে বড্ড ঘুম পায়,
আরো একটা সিগারেট, আরো একরাশ ছাই-
আজকে কি বিপ্লব আসবে?
রাস্তে সে হঠ যাও বাচ্চে লোগ-
সান্ত্বনা, স্বপ্ন, ক্লান্তি বালিশে নেমে আসে সাম্যবাদ
একটা আঠালো ঘুম আমায় ঐশীর পাশে শুইয়ে দেয়।

পিচগলা এপ্রিলে
চোখ বুজলে টের পাই-
আতর মাখা পৃথিবীতে,
ঐশীর ঘামের গন্ধ


প্লেটোনিক

ঐশী,
আজ বাইরে খেয়ে এলে কেমন হয়?
বেদুইনে বিরিয়ানীর সাথে এখনও ডিম দিচ্ছে।

ঐশী
না হয় দু'জন মিলেই একটা কবিতা লিখি,
অন্তত কয়েকটা প্লেটোনিক অজুহাত খোঁজার সময়টা বেঁচে যাবে।

ঐশী
এসো, আজ ডুব মারি পলিটিক্যাল সায়েন্স,
অনেক... অনেক বারুদ জমে গেছে, ভালো বিক্রি নেই;

ঐশী
আজ আমার সাথে ভোররাতে পালিয়ে যাবে?
কি জানি, তোমার নতুন ইঞ্জিনিয়ার বর মনে হয়, খানিকটা আমারই মতোন।

ঐশী
এসো দু'জনে ফুটপাথ খুঁড়ে বের করি আমাদের চুরানব্বই
আর কাঁহাতক অ্যালবামে স্মৃতি খুঁটে খাব?

ঐশী
শেষবারের মতো সাম্যবাদী হওয়া যাক,
তুমিই তো বলতে, 
সূর্যাস্তের পর আকাশটা একটু লালচে লাগে...


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন