বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৫

শর্মিষ্ঠা ঘোষ

পাপ
  
নিজের পেছনে ক'টা লাথি কষালে বা কী কী ভাবে গালি দিলে এ পাপের প্রায়শ্চিত্ত  হবে ভাবছি
তুমি অমুক খাও তমুক খাও। আমি পুতুল গড়ে নাড়ু মুড়কি দিয়ে পুজোপাঠ করি
তুমি একদলা থু থু ছুঁড়লে আমি ড্যাগার হাতে ধেয়ে যাচ্ছি
আমার লাশের পাশে অন্য কেউ শুইয়ে দিচ্ছে তোমার লাশ
                                   

আওয়াজ

যদি সত্যিই কিছু না হয় কিছুতেই, শব্দ তবে ব্রহ্ম বল কেন?
কেন তুমি ক্ষইয়ে ফেল খাগের কলম প্যাপিরাসের নিছক কোলাহলে?
ফিরে যাচ্ছ নিজের কোটর আঁকছ ফুল চাঁদ পাখি নয় নরম ভাঙ্গা প্রেম
পাতায় পাতায় আবর্জনা অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্ট প্রাইভেট সব মরণ বাঁচন, শেম!
যদি সত্যিই কিছু না হয় কিছুতেই, শব্দ তবে কিসের তরবারি?
কেন তুমি পন্ডশ্রমে খুঁটে খুঁটে ভরে তুলছ ঝুলি? কলার তুলে ভাব নিচ্ছ কবি?
নাই যদি বা পারলে লিখতে খোলা চিঠির শেল, মোম জ্বালিয়ে নীরব কাঁদবে খালি?
কালোব্যাজ আর মুখফেট্টি লোকদেখানো ঢং? আওয়াজ তোলো বরং, সবাই কথা বল        

কতখানি ?

দেখব না ফিরে ভেবে আরও আরও ফেরার কথাই ভেবে যাচ্ছি
সেই সম্পৃক্ত প্রেমিক বাহুলগ্ন কন্ঠলগ্ন অনেক পেছনে তারও কিছু হীনমন্য যাতায়াত রাস্তা গলি ঠেক
মদের ঘোরে নতুন কোনো ফাঁস চেপে বসতে বসতে পিছলে যাচ্ছে কেউ
এটুকুই টুকিটাকি বেইমানি প্রতারণার চেয়ে লঘু অথচ পাপের মতোন বোধ
ডোবাতে ডোবাতে এক লাফে ঝুলে পড়ছে পরবর্তী এপিসোডে

ক্লান্তির পর ঘুম তারপর সফেন ঢেউ তারপর ঘরমুখি ডাক তারপর হুঁস তারপর তুইতারপর ক্ষমা আর অনুতাপ
তার আরও পরে আকুল জীবনল্যাসো খুলে মুক্তির হাওয়া
মাঝে মাঝে এরকমই হয় খুব কিছু লয়-ক্ষয়হীন
সানবার্ন সেরে গেলে ঢকঢক জলের খিদে ঠোঁটের চুমুক
আমি তবে কতখানি তোরজানা নেইতুইও কি জানিস?




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন