বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৫

জয়শীলা গুহ বাগচী

গাছেরা


(৪)

গাছটার ডালে ঝুলে আছে মধু ঠোঁট
কোণ থেকে গড়িয়ে পড়ছে তুচ্ছতম করুণ
গাছটা এক হতে পারে
ছড়িয়ে পড়তে পারে অরণ্যে
ধুলো মুছে পাতা থেকে বের করতে পারে
ডেডবডি
তার সাথে কিছু টলটলে অশুদ্ধ চোখ
শরীর ভাঁজ করে, ভাঁজ করে, ভাঁজ করে
গাছের দোরগোড়ায়
প্রত্যেক কোপে ও তখন শীৎকার
সারারাত পুনর্জন্ম
ভেজা খাতা
সকাল থেকে রাস্তা চওড়া হচ্ছে


(৫)

একটা কাণ্ডের নাম হতে পারে খেয়াল
রোদের সরগম যখন ঝাঁপতালে
কত্থকের ঘাগরায় ...
রাস্তার দিক ভুলিয়ে
ঘুংঘট তুলে
সাদা ইউক্যালিপটাস সেদিন
লিপস্টিক চেয়েছিল
সারিবদ্ধ গাছেরা হাত ধরাধরি করে
সেই যে হাটে গেল
বন্ধুনগর বন্ধুনগর বলে
কতবার হেঁকে গিয়েছিল কন্ডাকটর
যেন সে সব জানে
বন্ধুর কথা
ভুল বন্ধুর কথা
মাটিতে পড়ে থাকা চকচকে কাণ্ডে
পনেরো বছর মুছে যাচ্ছে
বন্ধু মুছে যাচ্ছে


(৬)

অভিমান ঘন হলে
গাছেরা দূরে চলে যায়
অভিমানের নাম রাখি কিশোরী

অথচ গাছের গায়ে
পুরনো ক্যালেন্ডার
চাইলেই হাত ডুবিয়ে নিতে পারি তারিখ

পাতা বেয়ে উঠেছিল অলৌকিক ইচ্ছে
কাণ্ড গিলে নিয়েছিল
আমি আর শেকড়ে ওকে ভাত খাওয়াচ্ছি

কিছুদিন ধরে শরীরে পাক
কাঁচা কাঠের গন্ধ 
মৃত বন্ধুকে জাগিয়ে তুলছি


২টি মন্তব্য: