রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৫

পৃথা রায়চৌধুরী

অগস্ত্য যাত্রা

পরিপূর্ণ যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে
বেড়ে গেছে বন্ধ জানালার সংখ্যা
রক্তাল্পতার কর্তব্যে, শিশু বল্মীকের
যুবাবস্থায় পদার্পণ উল্লাসী নিঃস্পৃহতায়।

মিশে যেতে চেয়ে, মিশে গেছে
দেওয়ালের সাথে চিরতরে
সামান্যতম অক্সিজেনের যাত্রাপথ
খুশির রোশনাইয়ে মাতে আখর জগৎ।

সহজেই ভেবে নেওয়া যায়
সম্পদের ভিত্তিতে বহু অঙ্কসজ্জা করে
জালের দ্রৌপদি।

দশরথপুত্রের নাম
চার কাঁধে বহন করার নিস্তব্ধ চীৎকার
কান পেতে শুনে নেয়,
বাস্তুহারা লাল নীল রক্তধারা।



এখন গন্তব্য

এখন আর টেলিগ্রাম আসে না
বহু সন্ধানে যে খাম পাওয়া গেছে,
ঠিকানা লিখে দেখা গেছে
পিনকোড ভুল ছিল বলে
গন্তব্যে পৌঁছানো দায়।

হঠাৎ, অপেক্ষা ধরেছে ভেনিসের রাস্তা,
গন্ডোলার ছিদ্রপথে জল ঢুকবে জেনে
সাঁতার ভুলে যাবার চিত্রনাট্য বাঁধাধরা।

শামুকের খোলসে অজান্তে হেঁটে
আলতাছাপের সারি চলে গেছে
অ্যাটলান্টিকের চরমে, যেখানে
উন্মত্ত নাবিকের দল আবিষ্কার করেছে,
সন্ধ্যাতারাও পথ হারায়।



ফলাফল  
শব্দ শব্দ করে তোমার প্রতিটা বাক্য মুখস্থ করায়
অনেকখানি জুড়ে শূন্যের চিন্তায় জমাট রক্ত
যেখানে খাদের গভীরতা খুঁজতে উন্মুখ নিঃশ্বাস,
চূড়ায় বসে কিছু অবাক মেঘ গুনগুন করে ওঠে
আত্মাহুতির অপর নাম আঁকড়ে থাকা।
বুড়ো বটের নিচে বিকেল হয়ে আসা রঙ
ক্রমশঃ সেপিয়ায় বদলে যেতে যেতেও
বন্ধ চোখের পাতায় লেখে,
এটুকুই মনে আছে, বাকি গান ভুলে গেছি;
পরিপূরক এক ঝলক চৈতালি
কানে শন্‌শন্‌ পরিয়ে ধরা দিয়ে গেছে মোবাইল রেকর্ডারে।
এক হাতে ক্যামেরা, অন্য হাতে অচেনা হবার অঙ্গীকার...
এক যুগান্তকারী দুর্ঘটনার অপেক্ষায় ধরেছি অবরোহণ।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন