দিনাতিপাত
পৃথিবীর সবচেয়ে কোমল আলো-
সে জোনাকির,
নিবিড় অন্ধকারে জ্বলছে দারুণ তেজে
যেন এক অনন্ত সূর্য চেতনার গভীরে প্রোথিত,
কম্পাসের কাঁটা যেমন বৃত্তের মাঝখানে
বসে থাকে গাঢ় অস্তিত্বে
আমি কেবলই ধাবিত হয়েছি প্রবল,
পরিধি ঘুরে ঘুরে সবটুকু ভ্রমণ শেষে
দেখি পৌঁছেছি এক দারুণ নিরস্তিত্বে।
তবু জোনাকির আলোয় জ্বলে থাকে
‘ভালোবাসা’, গভীরে - শূন্যে - আর
‘হা’ করা কাকের ঠোঁটের মধ্যে
সে জোনাকির,
নিবিড় অন্ধকারে জ্বলছে দারুণ তেজে
যেন এক অনন্ত সূর্য চেতনার গভীরে প্রোথিত,
কম্পাসের কাঁটা যেমন বৃত্তের মাঝখানে
বসে থাকে গাঢ় অস্তিত্বে
আমি কেবলই ধাবিত হয়েছি প্রবল,
পরিধি ঘুরে ঘুরে সবটুকু ভ্রমণ শেষে
দেখি পৌঁছেছি এক দারুণ নিরস্তিত্বে।
তবু জোনাকির আলোয় জ্বলে থাকে
‘ভালোবাসা’, গভীরে - শূন্যে - আর
‘হা’ করা কাকের ঠোঁটের মধ্যে
জমে থাকে গাঢ় অন্ধকার।
পাখির কথা বলছি শোন
হঠাৎ উড়ে এলো একটা শূন্য পাখি।
পাখিটা শূন্য। কিন্তু ওর, দু’টো ডানা আছে।
আমি দেখলাম ডানাগুলোর পুড়ে যাওয়া ছাই।
চোখ আছে। আমি তাতে দেখলাম
একটা অন্ধকার আকাশ। জানি না
পাখিটার মন আছে কি নেই। আমি তার বুকে
কান পেতে শুনলাম। বৃষ্টির শব্দ।
আরো গভীরে, ধুমুল বৃষ্টির মধ্যে
বোঝা গেল না কেউ একজন। হ্যাঁ,
খুব দ্রুত পায়ে হেঁটে চলে গেল। পড়ে রইল
অনশ্বর দুটো পদচ্ছাপ। পাখিটা কি খুব গভীর ভালোবেসেছিল? যার
পা দু’টো শুধু
বুকে করে উড়ে বেড়ায় ধূসর পৃথিবীতে? পাখিটা নিজেও জানে না
কী দারুণ
শূন্যতা চারপাশে, অথচ প্রতি সেকেন্ডে
অতিক্রম করে ইনফিনিটি, এক দূর্বার নিঃসীম।
কৃষ্ণগহ্বর
পাঁজরের রিবস্গুলো
ঝরঝর করে খুলে পড়ল একসময়
আমি দুর্বিনীত। ফুলস্নিগ্ধ হাতে
মালা গাঁথলাম পাঁজরে।
হাড়ের মালা। তোমার গলায়। পরন্ত বিকেল কান্তি
তোমার
গালে নরম রুপালি রোদের মতো
রোম
আমি হাত দিয়ে ছুঁয়ে দিলে
যেন উড়ে যায় রাজহাঁস।
তুমি দীর্ঘ হেঁটে চলে যাও।
আমি পেছনে, ছায়ার হাত ধরি।
কত যে বন্ধু দু'জনে - ছায়া
আর আমি।
জোনাকীর আলো সেধে জেগে থাকি
অন্ধরাত
তারপর রাত্রি অবসন্ন, জোনাকীর প্রপাত
শেষ হলে
ফিরে যায় ক্লান্ত তিমির শিকারী।
মেঘেদের গহনে ঢেকে যায় রাজহংসের
ডানা।
তোমার গলায় হাড়পাঁজরের মালা জ্বলে জ্বলে ওঠে
হাজার নক্ষত্র রাত। ছায়া আর আমি জেগে থাকি বন্ধ
করোটিতে
জাগে ব্ল্যাকহোল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন