রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৫

অশোক তাঁতী

চৌষট্টি পাপড়ি পদ্ম
কলার মান্দাসে ভাসি একা, রাই
এখানে প্রেম নেই
শুধু সূর্য

বীজের শরীর শুধু জল চায়, রাই
ভাদরপচিয়েদিল
শরীর খারাপ

জল তাথৈ কিছু আপন নয়, রাই
আলগোছা মেঘের মৌনতা
ব্যথার সন্ন্যাসে

অজান্তে তোর চোখের পাতা কালো হলো
বৃষ্টির জল আর জলধি-মুদ্রাতে ফোটেনি হাসি
কুমারীকে সাক্ষী মেনে ব্যর্থ হয় পূর্ব-জীবন
একাএকা ক্ষতচিহ্নে এ যাপন ভালোবাসি।।
গীতগোবিন্দর মতো জল পায়ে লিখে দিয়ে যাস
ডমরু বিজুরি আনমনা সারারাত পদচারণায়
চৌষট্টি পাপড়ি পদ্ম, দুজনেই একা থাকা রাই
ভাবি, নগরবাহিরেকোথাতোহারিঁকুড়িআ
সম সাঙ্গ করি, সেখানে এখনই চলে যাই।


তোর জন্য

শরীর বিশেষ কিছু দিতে পারে, মনকে বেদনা
প্রত্যাশী অক্ষর যাতনা হয়, ঘটনারা চলে যায়
নীরবতা আধাঘুম আধাকান্না মেশানোশিশির
উদ্বৃত শস্যদানা, ফুলের অসুখ, অসুখেরশীষ
         তোর জন্য না

অনন্ত আনন্দ শুধু শরীরে প্রবেশ
মিথ্যে না, তোর জন্য

মাঠভর্তি গ্রীষ্মফাটলে বিরলঝর্ণা যেন দেবীচিহ্ন
তোর জন্য
অন্ধকার আকাশের পর্দা সরিয়ে আনাড়িমেঘ
দক্ষিণায়ণে সূর্য, চেনাপথে একদল ধবলবালক
ফিরে আসে বুড়ি ছুঁয়ে
অনুভূতি ঘনহওয়া নিখুঁত বাতাসে
কাটাকুটি খেলে যাওয়া ইতিহাস ছেড়ে
জন্ম নেবে বলে
                 তোর জন্য


অনার্যসামগান

ইচ্ছেগুলো শরীর ছাড়াতেই ভাষা গেল মরে
জাগার মধ্যে ঘুমিয়ে থাকা, স্বপ্ন ডানায় চড়ে।

আমি কখনো ঘোড়া দেখিনি, শুনিনি ত্বরণ
সারারাত শুনে গেছি হেরে যাওয়া অনার্য সামগান।

শব্দ যা যায় ফিরেও আসে, নৈঃশব্দ্যে চড়ে
পিঠের মাঝে তর্জনী তোর ঘামের মধ্যে উড়ে
হারিয়ে গেছে শান্ত হয়ে, কপিলাবস্তু ছেড়ে।

আমি এখন একা একাই প্রদীপ জ্বেলে ঘরে
ছায়াকে আজ আদর করি, নিজের মতো করে।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন