রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৫

অরুণিমা চৌধুরী

ডিক্লেয়ারেশন

বাসুবাবু!
অনেকগুলো বছর ধরে একটা স্বপ্নকে বেঁচে থাকার লড়াই করতে দেখেছ?
দুমুঠো ভাতের জন্য বিড়ালছানা ঠাঁইনাড়া খায়। শুনেছ?
একটু বাঁচতে চেয়ে যে মেয়েটা রোজ মার খায় 
আর স্বপ্নের বীজ বোনে, তাকে চিনেছ?
কালশিটে কপাল চুলে ঢেকে যে কবিতা লেখে,
তার কলমে বিষাদ কালি।
বিশ্বাস বদলে যায় ছলনায়।
নির্ভরতার মানে গলার বোঝা।
প্রেম মানে মুখ পুড়ে যাওয়া আগুনে কলঙ্ক।
বিবর্ণ স্বপ্নের বুকে সেও যান্ত্রিক আঁচড় কাটে।
কবিতা নয়... যন্ত্রণা লেখে
তার কাছে আর যাই হোক
প্রেমের কবিতা আশা কোরো না!

মুখবই

দোমড়ান
মুখোশের পেছনে কিছু এডিটেড মুখ।
নিছকই অ্যাক্সেপ্টেড তালিকাভুক্তি,
তার নাম পরিচিতি।
ধূ ধূ নীল বালুচরে ক্লান্ত নির্জনতায়
খাপখোলা দো'ধারি তলোয়ারবাজি।
নীল স্ক্রিনে যতক্ষণ আলো,
ব্যাটারিতে ঠিক যতটুকু চার্জ,
ঠিক ততটুকুই হিসাবমাফিক আদানপ্রদান।
বন্ধু মানে লগ ইন, লগ অফের মাঝখানে
ছোট্ট হাইফেন।
তারপর,
সব দিখাওয়া। সব ঝুট’

অশ্রুমতী

বৈদেহী
সাঁকো কিছু অলীক স্বপ্ন এঁকেছিল।
আজ আগুনকাঠিরা ঘৃণা উগড়ায়।
বাতাসে ছেঁড়াখোঁড়া কথা ওড়ে।ওড়ে পালক পালক  কলঙ্ক।
কোন সেতু অবশিষ্ট নেই।
হাত ধুয়ে ফেলা শুচিতারাও যথেষ্ট সাবধানী।
তবু বন্ধ দরজার আড়ালে
ঈষৎ  ফোঁপানির শব্দ ভেসে আসে।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন