দেওয়াল
শুধু আমার মতো চলতে পারি না
শুনে নেবার, বলে দেবার
পছন্দটুকু
অপছন্দে বাঁধা থাকে,
না পাবার মতো সুখ, পেলেই
স্থবিরতা
হাত বাড়িয়ে যে ফুল তুলতে চাও
ভালোবাসার সে ফুল রাঙায় নি তোমাকে।
সংঘর্ষে, নীরবতা ভেঙে যায়।
আবার কখনও অজস্র কথার মাঝে, শূন্য সারাংশ।
তোমার শূন্যতে কারো পূর্ণতা
তোমার স্বপ্ন যেখানে ভাঙা
সেখান থেকেই ভালোবাসা জন্ম নিতে পারে
দেখো সমর্পণের বাঁধ জলজ ঢেউ দেওয়াল বেঁধেছে!
তুমি চুমু খেলে
তুমি চুমু খেলে, আমি বসন্ত দেখলাম...
সিগারেট পুড়ে আঙুলে লাগবেই
যেমনটা তুমি মাটি ছুঁয়ে থাক।
পায়রা উড়িয়ে হাততালি দিতেও পয়সা লাগে,
আকাশ ভেদ করে তুমি বিদেশ যাচ্ছ,
কোনো বাধা নেই।
তাসের মসৃণ পিঠগুলি অনায়াসে ফেটে যায়,
চমৎকার কিছু ম্যাজিক দেখাতে গিয়ে
আসলেই তুমি ভ্যানিস হয়ে যেতে পারো।
পয়সা কারো পকেট চেনে না -
ঢাকনা খুলে তুমি বড়
মূল্যহীন পড়ে থাকো,
দিন দিন তুমি চমৎকারী হারাচ্ছ
আসলে আমাদের চোখে পুনপৌণিক কথাগুলি
কেমন ম্লান হয়ে যাচ্ছে তোমার চেহারায়
হঠাৎ মনে হতে পারে তোমার চারপাশে বাতাস নেই,
আবার নীল আকাশটা অনায়াসে খুবলে নিতে পারো তুমি,
শূন্যতাতেও দেখো কিছু আছে!
বিস্বাদ অমৃত ভাণ্ডারে দেখো দেবতারা জীবন হারিয়েছে -
মরতে চাইলেও কিন্তু মরা যায় না!
পর্বতের কালপত্র তুমি খুঁজে পাবে না
এখানেও সপাট ভূমি ছিল
ওরাও উজানি গান গেয়েছে।
জাগ্রত বসতগুলির ইতিহাস হারিয়ে গেছে,
কখনো আনমনে মনে হবে হয়তো তুমিও এখানেই ছিলে
এই পথঘাট যেন মিশে আছে তোমারই বুকে
সেই অচিন মেয়েটির ফলকে ফেলে আসা
দ্রাবিড় ঘামে আমাদেরও ঘ্রাণ মিশে আছে।
জীবন ছুটে যাচ্ছে
বিষাদ বায়ু বুক ভরে আছে
নির্মল যত কিছু ধরা আছে তোমার শ্বাস,
শুষে নিচ্ছে সময়, তবু তুমি হাত পা ছুঁড়ে
হেসে খেলে ধরে রাখতে চাও অনন্ত!
এই তো মূলাধার, নির্ধারিত আঙ্গুল চাপে খুলে যাবে
সমস্ত আত্মকথা, জমানো নথিপত্র ঘাম,
থরে থরে সাজানো পৃষ্ঠাগুলি
তোমার আত্মছবিগুলি খুলে নিতে পারো।
কিন্তু ছুঁতে পারো না তুমি, সাজাতে পারো অনেক কিছু
স্বপ্ন তুমিও বানাতে পারো নির্ঝরের স্বপ্ন
ভাঙতে পারো।
ফুৎকারে দেখ কিছু নেই - আবার উঠে
আসতে পারো
শিয়র ঘুমের পাশে
আবার হাত ছুঁড়ে চিৎকার দিয়ে
উঠতে পারো!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন