রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

তোফায়েল তফাজ্জল

এমব্রয়্ডারি  আকাশ

ক্লান্ত সূর্য টা-টা জানানোর এক বিঘত পরেই
লোকালয়ে উড়ন্ত ছাইয়ের ছায়া পড়ে
এদিক ওদিক না বেড়িয়ে বিটুমিন নীরবতা
জড়ো হতে থাকে দিগ্বলয়ে।

ভাবিযেন যৌথভাবে কেউ কেউ কালো রং খেলে
কিংবা উপরের দৃষ্টিভ্রম বৃক্ষ শাখায় লুকিয়ে স্প্রে করে
দুপাল্লায় তলদেশে।

 রং বাহ্যত না লাগলেও
নজরে নিঃশব্দ ক্রিয়াশীল।

প্রিন্টার বা ফটোকপি মেশিনের কালি-অন্ধকার
মুক্তাঙ্গনে, সর্বস্তরে আন্দোলিত ধারণা হলেও
ছায়া সুনিবিড় এলাকায় বাড়িয়ে দিয়েছে দ্বিগুণ গাঢ়তা, 
এসবের খুঁটিয়ে দেখার দর্শনার্থী দূরের নক্ষত্রপুঞ্জ।

কবর শ্মশান  ভূতুরে পথের নিঃসঙ্গ খপ্পরে
পথিকের মনে ভাসে বুনো ডোরা প্রাণী
যেন এখনই ঝাঁপিয়ে  পড়ে মেতে উঠবে রক্তের উৎসবে। 
   

ঘুমের ট্যাবলেট

ঘুমের ট্যাবলেট বা নরম স্পর্শ যোগে 
অমিয় আরাম সমেত প্রতিজ্ঞা নিয়ে ঘরে ঘরে আসে এমন রজনী
 সুযোগ গায়ে পড়ে গায়ে দিলে দুষিত চরিত্রে ফিনকি দিয়ে উঠে অপতৎপরতা
খুঁজে ফেরে ইপ্সিত অন্দর
হাত বাড়ালেই যেখানে বস্তুর দুস্তি।   

তখন নিস্তব্ধ আকাশের বিশাল চাদোয়া দেখতে মনে হয়
এমব্রয়্ডারি কারিগর ফুটিয়েছে উজ্জ্বল বুটির
নিখুঁত প্রয়োগ। 


বিভক্তি রেখা

মাটির বাসিন্দা হয়ে মাটির বদনাম
জলে থেকে জলীয় প্রাণীর
কোথাও পরোক্ষ গড়বড় বলেই ঠেকে
সন্দেহ লাফিয়ে সামনে, এসব ইচ্ছের ডালে ডালে,
পাতায় পাতায় বানরের নগ্ন চর্চা,
আঙুল ফোলায় সেই কলাগাছ ধান্দা
অথবা তৃতীয় কোনো অসদিচ্ছা ওত পেতে আছে, খোপে-খাপে।

কখনো এগুলো বাষ্পাকারে পাখা মেলে বনে
গোল্লাছুট মেঘের কিশোর, কেড়ে নেয়  
জোনাকির চোখ টিপাটিপি,
মেডেল শোভিত ঔজ্জ্বল্যের কটি ভাঙে, 
ছাই মাখে ঘটনা মিছিলে

এমন বন্ধুর হয়ে পড়া সমকালে  
বাঁকা স্রোতে ভাসে সংখ্যাধিক্য মনোবাঞ্ছা,
যে থালায় খায় সেটাই সছিদ্র দেখায় সগর্বে
অথচ এতেও সগোত্রীয় সহমত!

বেড়ার সপক্ষে সাত উট বোঝাই সমূহ যুক্তি
রশি ছাড়া পাওয়া ছাগলের কাছে নতুন চরের কচি ঘাস;
 যুগও কি তা অন্ধানুকরণে, সেই পুরনো কাসুন্ধি ঘাঁটায়?

জেনো, ঠিক তেল  জলের ধারাভাষ্যে
ফুটে থাকে মানুষ  প্রাণীর বিভক্তি রেখা


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন