রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

দেবাশিস মুখোপাধ্যায়

শিরোনামহীন কবিতা

অন্ধ মানুষের সংখ্যা ছাপিয়ে যাচ্ছে 
কপালের লেখা ভিজে যাচ্ছে ঘামে
পরিযায়ী পাখিরা একটা অস্থায়ী ঠিকানা চেয়েও পাচ্ছে না
একটা চারাগাছও বেশ চাপে
ঘরকে ভেবে নিতে হচ্ছে একটা এসি মেশিন 
আর হৃদপিন্ডকেও কুয়াশা এড়ানোর কথা
চতুর্দশীর রাতে একটা ভূতের সিনেমা 
হাত পা সব অঙ্গ অদৃশ্য এবং অব্যবহৃত...


অনভ্যাসে লেখা ডাইরি

সকালের শরীরে জমে যাচ্ছে কুয়াশা 
পথের পাথর আপাতত কিছু বলছে না
পাখিরা হারিয়ে গেলে যেমন গাছ চুপচাপ 
মাথা নিচু করে দেখে যায় কীভাবে 
আলগা হয়ে যাচ্ছে শিকড় আর নিরুদ্দেশ মাটি
না মেঘেদেরও বলার মতো ডানা নেই 
বুক ভারী হয়ে এলে খসিয়ে দিতে হয়
মায়াময় বলে কিছু নেই মায়ার সংসারে 
বৈদ্যুতিক চুল্লী জানে শুধু ছাই আর ছাই
বাতাস তাস উড়িয়ে সতর্ক করলেও 
ঘর ভেঙে যায় ঘরের দোষেই
নদী হারিয়ে যাওয়ার পর গানও ফিরে আসে না অভ্যাসবশতঃ


কিছু অক্ষমতা

আকাশ থেকে পালিয়ে যাচ্ছে মেঘের অসুখ 
হনহন করে হেঁটে যাচ্ছে যারা নজরে আনছে না
কোথাও গাছ শব্দটি শ্লেটে নেই জলা শব্দটিও 
পাথরের ভেতরে ক্রমশ জবর দখল প্রবণতা 
ভাবিয়ে তুলছে কতটা পাথর হয়ে হয়ে উঠেছে মানুষ
আর শ্মশান শীৎকারে নিভতে চাইছে না আগুন 
কেউ পারছে না নিজেকে ফিরিয়ে আনতে 
সরলরেখায় আর একটা গোলাপ ফুলের জন্যে 
ঢুকরে উঠেছে কেউ আর সবুজ উদ্যানগুলি 
ভায়োলিন বাজিয়ে চলে যাচ্ছে হিমঘরের শোকসভায়
মাকেও মর্গ থেকে কিছুতেই ফেরাতে পারছি না...


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন