রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

মোনালিসা চট্টোপাধ্যায়

একা

আমি একা গৃহত্যাগী... সন্ন্যাস খুঁজেছি কেন মিথ্যাসুখে?
চাঁদ তুমি কি পেয়েছ ধ্রুবনক্ষত্র ধ্যানস্ধ মোমপরী? সূর্য তুমিও রয়েছ একা সূর্যপোড়া ছাইহয়ে৷
কর্ণ জানে না তাহার পিতা...
একা বাতাস জল আমাতে বিকাশশীল, যদি ঈশ্বরী কবিতা লেখে
জলকে বানাবো নুন বিদ্যুৎ৷
ধূ ধূ মাঠে রাখালের বাঁশি তুমি, কোথায় তোমার গ্রাম? নদী?
অমান্য বাতাস এলে তোমাকে দেখাবো আমি একাই প্লাবন৷
বাঁশিটি বাজবে যেই, নদীমাঠ গুহাবাসী জলে হবে গৃহবাসী৷
শুধু জানি আমি এক খেলা খেলা সুরে বেজেছি রাখাল হাতে৷
বৈমাত্রেয় বাতাসের যুদ্ধ বন্ধ হলে সন্তানকে বলব আমার পাপ ওই সূর্য
সেই তোমাদের পিতা৷
বিধাতা বিমুখ হতে দেখেছি প্রশ্ন উত্তরহীন কেন সূর্য একা, চন্দ্র একা, গ্রহণে আসেনি রাহু৷
আমি একা আলো হয়ে ভাসি জলে,
দোলায় আমায় দু: যত৷
তবু সব তারা আলোপথ পৃথিবীর, আমরা পথিক মাত্র - নবসুখে মনোমুগ্ধকর,
কেন না আমি তো জানি বাতাসের পিতা কে! জলের পিতা কে!
অন্ধ কলম লেখে তারবার্তা৷

তবু কেন দেখি সুষ্ঠু সুলিখিত সূর্যালোকে সৃষ্টিছাড়া সূর্যোদয়৷




খিচুড়ি

গুরু শিষ্যের নামে শপথ করি এই হাতে তোমার সঠিক মূর্তি৷
পালক পিতার মতো লালিত স্নেহেই স্যদানা তুলে দাও শিশুটির মুখ৷
কার মুখ্য ইচ্ছেতে কাটল মেঘ জল? হলুদ গাছটি হাসে মনে মনে --
চাল ডাল মিলে আমাদের দার্শনিক শিল্প,
তাকে ইতিহাসের মর্যাদা দিও৷
সামান্য যা কিছু আজ, কাল সে সামান্য নয় - এই সভ্যতার সূচনা, বিস্তার আছে৷

বর্ষা তুমি অন্যতম, তোমার জন্যই আজ প্রকৃতি কবির,  
গৃহস্থ তোমার জন্য বিদ্রোহ করেনি৷
গাঁদা রঙে বানিয়েছি উৎসব বিশ্বাস






Top of Form







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন