রাতের রজনী
গোপনীয়তা এখানে
উন্মুক্ত অনেকের কাছে
শরীরের পরিচয়ের
চিহ্নগুলো ঝাপসা অজস্র আঘাতে
বিছানার চাদর
বদলানোর মতোই সঙ্গী বদল।
এই সঙ্গী শুধুই
নোংরা লিপ্সা চেনে,
শিরায় শিরায় কালো
রক্ত ছড়ায়,
যেন ছেড়া কাঁথায়
কাদা মাখা পা মোছা।
সমস্ত আবর্জনা অনায়াসে
পান করা,
নীলকণ্ঠের মতো
আছে শুধু বিষের জ্বালা।
এখানে গঙ্গাকে কোনো
ভগীরথ আহ্বান করে না।
সম্মান লজ্জার
গলা টিপে চলে –
ব্যাভিচার আর প্রণয়
প্রণয় খেলা।
ভ্রুণহত্যা হয়
দেওয়ালের দাগ তোলা।
আর যদি কোনো
প্রাণ আলো পায়-
সেই আলো গ্রাস
করে অতল অন্ধকারে।
কে জানতে পারে
সেইসব ঘুণ ধরা নারীদের মধ্যে
একটা মন বলে কিছু
থাকে!
যে খোলা আকাশের
হাতছানি পেয়ে মুক্ত হতে চায়
স্বাধীনতা কথাটা
ওদের কাছে বেমানান।
শুধু থুতু দেয়
নিজেদের উপর,
প্রার্থনা করে
বিধাতার কাছে
পুনর্জন্ম বলে
কিছু থাকলে ওদের জন্য হোক নিষিদ্ধ।
বন্দী
তোমার কানের পুরু
চামড়া, আমার কথা তোমার কান অবধি পৌঁছায় না।
তোমার চোখ আমার
দুঃখ নরম গাল বেয়ে পরে সেটা দেখে না,
মনে হয় চিৎকার করে
কাঁদি কিন্তু সেটা চাপা পরে যায় পাথর ভাঙার শব্দে।
এই বিরাট পাষাণের
দেওয়াল ভেদ করে নীল আকাশটাকে দেখতে চাই,
কিন্তু পারি না-
এই ভাবেই
প্রাণবায়ু না পেয়ে হৃদয়ের স্পন্দন বন্ধ হয়ে যাবে,
আর এই আর্তনাদ
চাপা পরে যাবে নবীন আর্তনাদের ডঙ্কায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন