প্রতিবেশী
সাহিত্য
এ. কে. রামানুজনের কবিতা
(অনুবাদ
: সুমন্ত চট্টোপাধ্যায়)
কবি পরিচিতি
এ. কে. রামানুজন (জন্মঃ ১৬ই মার্চ, ১৯২৯ - মৃত্যুঃ
১৩ই জুলাই, ১৯৯৩)।
আত্তিপাট্টে কৃষ্ণস্বামী রামানুজন (পুরো নাম) একাধারে একজন কবি, পন্ডিত,
অনুবাদক, ভাষাতত্ত্ববিদ, লোক-কাহিনীকার এবং নাট্যকার ছিলেন। মাইসোরের
শ্রীনিবাস তামিল ব্রাহ্মণ পরিবারে তাঁর জন্ম হয়। দক্ষিণ ভারতে কলেজের শিক্ষা শেষ করে ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি আমেরিকায় ভাষাবিজ্ঞান নিয়ে পিএইচ. ডি. করতে যান। অপারেশনের সময় অচেতন থাকাকালীন মৃত্যুর আগে অবধি তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করতেন। ‘ম্যাকআর্থার ফেলোশিপ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি। তাঁর বিখ্যাত সাহিত্য কর্মগুলির মধ্যে The Striders, Relations, Second Sight, Proverbs ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। অনন্ত মূর্তির উপন্যাস তিনি অনুবাদ করেছিলেন Samskara নামে। তামিল, কানাড়া এবং ইংরাজি ভাষায় তাঁর সাহিত্যকর্ম আজও কৃতিত্বের দাবী রাখে।
অচেতন পদার্থের ছবি
জলযোগের পর যখন সে আমায়
ছেড়ে গেছিল, পড়েছিলাম
কিছু সময় ধরে।
কিন্তু হঠাৎই দেখতে
চেয়েছিলাম আবার
আর দেখেছিলাম সেই আধখাওয়া
স্যান্ডউইচ,
পাউরুটি,
লেটুস আর স্যালামি,
সব কিছুই ধরে রেখেছে
তার কামড়ের আকার
কালো মুরগী
গাছে পাতা আসার মতোই
আসা দরকার
অথবা কোনো দরকারই নেই
তবুও কিছু সময়ে আসে
কালো মুরগীর মতো
গোলাকার লাল চোখ নিয়ে
চিকনের ওপর
সেলাইয়ের পর সেলাই
ফেলে আবার খুঁজে নেওয়া হয়
আর যখন শেষ হয়ে যায়
কালো মুরগীটা অপলক তাকিয়ে দেখে
তার গোলাকার লাল চোখ দিয়ে
আর তুমি ভয় পেয়ে যাও
আত্তিপাট্টে কৃষ্ণস্বামী রামানুজন (পুরো নাম) একাধারে একজন কবি, পন্ডিত,
অনুবাদক, ভাষাতত্ত্ববিদ, লোক-কাহিনীকার এবং নাট্যকার ছিলেন। মাইসোরের
শ্রীনিবাস তামিল ব্রাহ্মণ পরিবারে তাঁর জন্ম হয়। দক্ষিণ ভারতে কলেজের শিক্ষা শেষ করে ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি আমেরিকায় ভাষাবিজ্ঞান নিয়ে পিএইচ. ডি. করতে যান। অপারেশনের সময় অচেতন থাকাকালীন মৃত্যুর আগে অবধি তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করতেন। ‘ম্যাকআর্থার ফেলোশিপ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি। তাঁর বিখ্যাত সাহিত্য কর্মগুলির মধ্যে The Striders, Relations, Second Sight, Proverbs ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। অনন্ত মূর্তির উপন্যাস তিনি অনুবাদ করেছিলেন Samskara নামে। তামিল, কানাড়া এবং ইংরাজি ভাষায় তাঁর সাহিত্যকর্ম আজও কৃতিত্বের দাবী রাখে।
অচেতন পদার্থের ছবি
জলযোগের পর যখন সে আমায়
ছেড়ে গেছিল, পড়েছিলাম
কিছু সময় ধরে।
কিন্তু হঠাৎই দেখতে
চেয়েছিলাম আবার
আর দেখেছিলাম সেই আধখাওয়া
স্যান্ডউইচ,
পাউরুটি,
লেটুস আর স্যালামি,
সব কিছুই ধরে রেখেছে
তার কামড়ের আকার
কালো মুরগী
গাছে পাতা আসার মতোই
আসা দরকার
অথবা কোনো দরকারই নেই
তবুও কিছু সময়ে আসে
কালো মুরগীর মতো
গোলাকার লাল চোখ নিয়ে
চিকনের ওপর
সেলাইয়ের পর সেলাই
ফেলে আবার খুঁজে নেওয়া হয়
আর যখন শেষ হয়ে যায়
কালো মুরগীটা অপলক তাকিয়ে দেখে
তার গোলাকার লাল চোখ দিয়ে
আর তুমি ভয় পেয়ে যাও
একটি কবিতার মৃত্যুতে
ছবিরা মন্ত্রণা করে
একে
অপরের সাথে,
একটি বিবেক-
পীড়িত
বিচারকের দল,
আর ধীর গতিতে
আসে
একটি বাক্যে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানী
ম্যানহোলের ভেতর আকাশ-মানব,
স্বপ্নের জন্য জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে,
দুঃস্বপ্নের জন্য জ্যোতির্বিদ্যা
প্রবাদে ভর্তি মোটা মানুষ,
কৃশকায় বছরের ভাষা,
ঘনকের ভেতরেই বাস করে
পঞ্জিকার ঘনক
দিনের ভবিষ্যদ্বাণী করে
অভাবনীয় লাভ আর ভূমিধ্বসের
ভালো প্রহরের
এক গণনার মাধ্যমে
চোখের জল ধরে রাখে
তার জন্মদিনের জামায়
এক গর্তের মতো
ছাতারোগে আক্রান্ত ঠিকুজী,
আড়চোখে অবস্থান দেখে
কালো গ্রহদের,
তার বাঘ, তার খরগোশ
সংস্কৃত রাশিচক্রে চলে যায়,
যা চিরকালীন অসুস্থ
ভগ্নাংশ আর মূত্রাশয়ের দ্বারা
তার তামিল মাংসে,
তার শরীর সেই মহান ভাল্লুক
মধুর জন্য ডুব দেয়
নারী-গন্ধ
নিচে ওখানে
ঐ ছোট কোঁকড়ানো চুলে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন