খেলা
রুলস অব দা গেম। সাম(psalm) অব দা গেমস- ইস্টিপিটিং ফি ফাইটিং নাইটিফিটিং দা
এই চোখ খুলবি না । চিটিং করবি না। হ্যাঁ, এবার ঠিক আছে। তাকাবি না পেছনে। রেডিইইই…। তুই খুঁজছিস আমাদের মিমি। অলোক লুকিয়েছে পি ডব্লিউ ডি’র পাইপের মধ্যে, নিশা পুটুস ঝোপের পেছনে, অমলটা বোকা খুউব। ও জানে তুই অবধারিত পেয়ারা গাছের নিচে যাবিই। আর কাঠপিঁপড়ে ওকে কামড়াবে। ও হাত- পা নাড়বে। আর তুই ধরে ফেলবিই। তবু ওখানেই। না’কি ও চাইত তুই ওকে আগে খুঁজে পাস। আর আমি? খুঁজে পেলি আমাদের?
রুলস অব দা গেম। সাম অব দা গেমস-
ইস্টিপিটিং ফি ফাইটিং নাইটিফিটিং দা
আমি লুকিয়েছিলাম ঠিক তুই যে দেওয়ালে চোখ বুজে আউড়ে যাচ্ছিস ৫-৬-৭-৮... ঠিক তার পেছনেই। অমলকে পেলি। অমলের মুখে কিন্তু ধরা পড়ে যাবার কোনো অভিব্যক্তি নেই। হাসছে। কেন? ও কি ধরা দিতেই চেয়েছিল! নিশাকে পেলি। যথারীতি বলল – আমি জানি অমল তোকে বলে দিয়েছে। অলোককেও পেয়ে গেলি। ও কিন্তু হতাশ। বুদ্ধি করে লুকিয়েছিল, তাও! লুকোতে তো বুদ্ধিও লাগে, তাই না! আর আমায়?
রুলস অব দা গেম। সাম অব দা গেমস
ইস্টিপিটিং ফি ফাইটিং নাইটিফিটিং দা
তখন পোস্টমর্টেম চলছে। কে চালাক, কে বোকা। কে এভারেজ। রেজাল্ট আনডিসাইডেড। সব খেলার কি এনালিসিস হয়! তবু মানুষ চেষ্টা করে। অলোক বলছে তার বীরত্বের গল্প। কী করে পাইপের একদম ভেতরে বুকে হেঁটে... তুই শুনছিসই না। নিশা তার আঙুল অমলের দিকে উঁচিয়েই। তুই অন্যদিকে তাকিয়ে। অমলটা তো সাধা পার্টি। চির-হ্যাংলা। তুই কি কিছু খুঁজছিলি সেদিন?
রুলস অব দা গেম। সাম অব দা গেমস
ইস্টিপিটিং ফি ফাইটিং নাইটিফিটিং দা
অলোক শৌর্যে সৌষ্ঠবে আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে। কত রকম কসরৎ জানতো। ও তোকে দেখাতেই করত। আমি জানতাম। আর, তাই দেখে নিশা জ্বলে যেত। ওর আবার অলোককে ভালো লাগে। কেমন না বল, অদ্ভুত! যাহা পাই তাহা ভুল করে পাই। যাহা চাই তাহা পাই না। আর অমল ধুর।
তবু জানিস অমলদেরও প্রয়োজন খুব। হে–হে করা সং না থাকলে রাজা-রানীদের চলবে কী করে! তুই ঠিক কী চাইতিস? এ ব্যাপারে আমরা বলতাম নতুন ইংরেজি শেখা শব্দ এনিগমা। তুই
নিজেকে কখনো এসেস করেছিলি?
রুলস অব দা গেম। সাম অব দা গেমস
ইস্টিপিটিং ফি ফাইটিং নাইটিফিটিং দা
খেলা শেষ হয় সায়ংকালেই। সব খেলাই। তারপর যে যার ঘরে ফিরে যায়। ‘ঘর’! হ্যাঁ, ঘরেই ফেরে। ঘর মানে কি চারটে দেওয়াল, আর মাথায় ছাদ? ঘর মানে নিজের নিরাপদবৃত্ত। ‘নিরাপদ’ লিখতেও জানিস হাসি পায় খুব। কে কতটা নিরাপদ? সে সায়ংকালে তোকে ঘরে পৌঁছাতে চেয়েছিল অলোক। পারেনি। কারণ নিশা জোর করেছিল অলোককে। তাকে পৌঁছে দিতে। কিন্তু আমি জানতাম অমলও। আর তাই অমল লেপ্টে ছিল তোর গায়ে গায়ে। সে রাতে অমলই তোকে পৌঁছে দিয়েছিল ঘরে। ‘ঘর’। এক আপেক্ষিক শব্দ। আজ বুঝি। আর পরে অমল ফিরে এসে আড্ডা দিতে এসে বলেছিল তোকে চুমু খেয়েছে পথেই।
রুলস অব দা গেম। সাম অব দা গেমস
ইস্টিপিটিং ফি ফাইটিং নাইটিফিটিং দা
খেলা শেষ হয় সায়ংকালেই। সব খেলাই। তারপর যে যার ঘরে ফিরে যায়। ‘ঘর’! হ্যাঁ, ঘরেই ফেরে। ঘর মানে কি চারটে দেওয়াল, আর মাথায় ছাদ? ঘর মানে নিজের নিরাপদবৃত্ত। ‘নিরাপদ’ লিখতেও জানিস হাসি পায় খুব। কে কতটা নিরাপদ? সে সায়ংকালে তোকে ঘরে পৌঁছাতে চেয়েছিল অলোক। পারেনি। কারণ নিশা জোর করেছিল অলোককে। তাকে পৌঁছে দিতে। কিন্তু আমি জানতাম অমলও। আর তাই অমল লেপ্টে ছিল তোর গায়ে গায়ে। সে রাতে অমলই তোকে পৌঁছে দিয়েছিল ঘরে। ‘ঘর’। এক আপেক্ষিক শব্দ। আজ বুঝি। আর পরে অমল ফিরে এসে আড্ডা দিতে এসে বলেছিল তোকে চুমু খেয়েছে পথেই।
কী জানি
শুনে আমার কেন রাগ হয়েছিল খুব।
আচ্ছা তুই ফিরে যাবার সময়ও বারবার পেছন ফিরে কাকে খুঁজছিলি? ফেলে যাওয়া খেলাধূলা-কাল? নাকি অন্য কাউকে? অলোক সামনেই, অমল পাশে, নিশাও। তোর সামনে শুধু আমি নেই। তাহলে?
রুলস অব দা গেম। সাম অব দা গেমস
ইস্টিপিটিং ফি ফাইটিং নাইটিফিটিং দা
অলোক তো মারা গেল ট্রেন এক্সিডেন্টে। নিশা বিয়ে করে জার্মানিতে। অমল তোর স্বামী। আজ অনেকদিন পর ওর সাথে দেখা টাটা হাসপাতালে। ও তোর কোনো মামার জন্য এসেছিল। আমি এসেছিলাম আজ লাস্ট কেমো নিতে। ডক্টর বললেন আর নিয়ে লাভ নেই। মানে খেলা শেষ প্রায়। অমল এসে পাশে বসলো। হাতে হাত রাখলো। কেন জানি না কেঁদেও ফেললো। অনুরোধ করল তোকে আমি যেন না জানাই কিছু। মানে আমার অসুস্থতার কথা। কী বোকা দ্যাখ! আমি তোকে কখনো কিছু জানিয়েছি? আমি আশ্বস্ত করেছি। ও বলছিল – তাহলে তুই আবার জিতে যাবি। আমি কিছুই বুঝলাম না কেন বলল। তুই জানিস? আমি তো হেরোপার্টি চিরকালের। ধুর আমি আবার জিতি কই!
খেলা শেষ হলে ফিরে যেতে হয়, তাই না মিমি? আমার সাথে অবশ্য কেউ নেই। কেউ নেই কোত্থাও। সায়ংকাল।
মিমি, কেবল অমল বলছিল যাবার আগে। ফুলশয্যার রাতে তুই নাকি ওকে বলেছিলি আদর শুরুর আগে – ‘রুল অব দা গেমস, সে কি সবাই জানে! অনি জানতো। কখন লুকোলে তাকে খুঁজেই যাবে সব্বাই, আর পাবে না কেউ। এনিগমা!’ মিমি তুইও জেনে ফেলেছিলি ‘এনিগমা’। আমি তো এই খেলা-জীবনের নাম দিয়েছিলাম ‘এনিগমা’।
রুল অব দা গেম। সাম অব দা গেমস
সায়ংকাল। এবার আমি আবার লুকোবো। তোকে লেখা এই ডক্স ফাইল এবার ঢুকিয়ে দেব পাসওয়ার্ড এর নিচে। কেউ জানবেও না।
মিমি টুকিইইইইইই!
সামনে আরো বৃহৎ খেলা।
তোর আর অমলের খেলাঘর পূর্ণতা পাক। ওকে টেনশন নিতে বারণ করিস।
এই প্লে-গ্রাউন্ডে সেই জেতে যে শেষ অবধি নার্ভ রাখতে পারে।
আলবিদা মাই কনকুবাইন। প্লে-টাইম কনটিনিউস।
রুলস অব দা গেম। সাম অব দা গেমস
ইস্টিপিটিং ফি ফাইটিং নাইটিফিটিং দা
অলোক তো মারা গেল ট্রেন এক্সিডেন্টে। নিশা বিয়ে করে জার্মানিতে। অমল তোর স্বামী। আজ অনেকদিন পর ওর সাথে দেখা টাটা হাসপাতালে। ও তোর কোনো মামার জন্য এসেছিল। আমি এসেছিলাম আজ লাস্ট কেমো নিতে। ডক্টর বললেন আর নিয়ে লাভ নেই। মানে খেলা শেষ প্রায়। অমল এসে পাশে বসলো। হাতে হাত রাখলো। কেন জানি না কেঁদেও ফেললো। অনুরোধ করল তোকে আমি যেন না জানাই কিছু। মানে আমার অসুস্থতার কথা। কী বোকা দ্যাখ! আমি তোকে কখনো কিছু জানিয়েছি? আমি আশ্বস্ত করেছি। ও বলছিল – তাহলে তুই আবার জিতে যাবি। আমি কিছুই বুঝলাম না কেন বলল। তুই জানিস? আমি তো হেরোপার্টি চিরকালের। ধুর আমি আবার জিতি কই!
খেলা শেষ হলে ফিরে যেতে হয়, তাই না মিমি? আমার সাথে অবশ্য কেউ নেই। কেউ নেই কোত্থাও। সায়ংকাল।
মিমি, কেবল অমল বলছিল যাবার আগে। ফুলশয্যার রাতে তুই নাকি ওকে বলেছিলি আদর শুরুর আগে – ‘রুল অব দা গেমস, সে কি সবাই জানে! অনি জানতো। কখন লুকোলে তাকে খুঁজেই যাবে সব্বাই, আর পাবে না কেউ। এনিগমা!’ মিমি তুইও জেনে ফেলেছিলি ‘এনিগমা’। আমি তো এই খেলা-জীবনের নাম দিয়েছিলাম ‘এনিগমা’।
রুল অব দা গেম। সাম অব দা গেমস
সায়ংকাল। এবার আমি আবার লুকোবো। তোকে লেখা এই ডক্স ফাইল এবার ঢুকিয়ে দেব পাসওয়ার্ড এর নিচে। কেউ জানবেও না।
মিমি টুকিইইইইইই!
সামনে আরো বৃহৎ খেলা।
তোর আর অমলের খেলাঘর পূর্ণতা পাক। ওকে টেনশন নিতে বারণ করিস।
এই প্লে-গ্রাউন্ডে সেই জেতে যে শেষ অবধি নার্ভ রাখতে পারে।
আলবিদা মাই কনকুবাইন। প্লে-টাইম কনটিনিউস।
রুলস অব দা গেম। সাম অব দা গেমস
উত্তরমুছুনইস্টিপিটিং ফি ফাইটিং নাইটিফিটিং দা
খেলা শেষ হয় সায়ংকালেই। সব খেলাই'
কী অদ্ভুত একটা লেখা খেলা থেকে কোথায় নিয়ে গেলেন!
মুগ্ধতা।
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
মুছুনমেঘ আপনি কত ভালো লেখেন।আমার প্রিয় লেখক।আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমিও খুশী।
উত্তরমুছুনভালো লাগল। শ্রাবণী।
উত্তরমুছুন