শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৫

আলতাফ হোসেন

জাহাজ ও বোতাম

জাহাজটি মাঝ-সমুদ্রে। শ্মশ্রুময়, শ্মশ্রুহীন লোকেরা দাঁড়িয়ে
মারামারি মারামারি। কী সব বলছে। লাথি মারছে। ছুরি চালাচ্ছে।
কান দুটো এখন আর ভালো করে শুনতে চায় না কিছু। চোখ
অন্যমনস্ক থাকে। কালো দীর্ঘ টুপিতে শ্বেত শ্মশ্রু। বন্দুক ধরেছে
কয়েকজন। এই তো একজন তরুণীকে দেখা যাচ্ছে ইঁদুর হাতে।
জটাজুট নিয়ে একজন বসেছেন খেতে। চামড়া ও লেজসুদ্ধ
সেদ্ধ ধেড়ে ছুঁচো চিবোচ্ছেন একজন। জোরে জোরে না হোক,
মনে মনে হলেও আমি তো কিছু বলছি ওদের উদ্দেশ্যে 
আমার দিকে একজনকে গুলি চালাতে দেখেই সবুজ আলোর
বোতামের দিকে যাই



সন্ধ্যার আঁকাজোকা

থম মেরে বসে থাকি কী বাবদে লেখা
কী বাবদে খেলা
দুনিয়ায় আছ ভেবে ভোরবেলা গলা সেধে যাও
অন্তত নিজের কানে তো গিয়ে ঢোকে
এক সন্ধ্যার এক মায়াপর্দা যায় যদি সরে
প্রত্যেক মানুষকে খুব সন্ত্রস্ত লাগে
বুদ্ধু খুব
বোঝার কিছুই নেই ভোলে বেমালুম
হামি (আমি) বুঝি (বলো যে, বুঝি না!)
আপাতত বার্তা এসেছে এক তোমার পাসপোর্ট রেডি,
নিয়ে যাও এসে
একবার মনে হয় ব্রেকিং নিউজ
ফের মনে হতে থাকে পাসপোর্ট ব্যাপারটি কী
খবিশ খবিশ লাগে খুব
দড়ির ওপর দিয়ে একদিন পাহাড়ে পাহাড়ে
করিনি কি পারাপার
সে দৃশ্য মাথায় নিয়ে ভয়ে ভয়ে রাস্তায় নামি
লোকেরা উলঙ্গ, মারবে, তা-ই স্বাভাবিক
নির্জন ময়দান



চায়না টাউন

সহজে গজাতে না চেয়ে
দুর্গম সে অরণ্য
খবরের কাগজগুলি এসে পড়ে সামনে
চার ঘণ্টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম
হ্যান্ডসাম মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ ও
রেলওয়ে মেনস স্টোরের বার
তিন পাত্র
দমকলের ছুটে যাওয়া ও সন্দেশ
চায়না টাউন যামিনীধরনে দেখা হয়ে যাওয়াটা
নস্যি
বিয়ারের ছুটে যাওয়া
মনে হয় কাগজ সেঁটে দিচ্ছি টুকরো করে
রিয়্যালিস্টিক বলো যে তা বলতে জানি না
গরিব করেছিল
আবার কী ঝকঝকে ভিন্ন ঘরানার একটি টাওয়ারের
আইফেল



থেরাপি

এখন আর বলতে পারব না, কেন
এ স্ক্রিবলস
থেরাপি বলতে পারো ঘটনাচক্রে পড়তে বসে
একটি ল্যাপটপ, এক কাপ চা কিংবা কফি
এক তাড়া তাড়না
বুকের বাঁ দিকে দূরদেশি নাজুকতা
খানিকটা বোরডাম
লিখিয়ে নিচ্ছিল এমনটা বলা যায় কি না...
তার মধ্যে বাদলবাবু এলেন
এবং ইন্দ্রজিৎ, তার বন্ধুরা
মানসী ওই যে...
পৃথিবীর প্রথমবারের কথাগুলো
শেষেরও-না বুঝি!
সবচেয়ে কাছে থেকে, বিশ্বস্ত সবচেয়ে
সমঝোতাময়,
মনে পড়ে কি না
থেরাপি বলতে পারো কি, না, অনিরাময়ের
বিস্তার



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন