মোহ
তুই কি দেখতে পাস নিচের দিকের
যতকিছু ইত্যাদি
সাধারণ মুখ থেকে ল্যাম্পপোস্ট,
কান ঘেঁষে পাশ
ছায়া ছায়া অস্পষ্ট চারপাশ
নিত্য নৈমিত্তিক
নাকি খালি উড়ে যাওয়া চিল,
বহুদূর যেতে চাওয়া কিছু?
এই ধর তোর ব্যাগে গুঁজে যাওয়া
চিঠি, ফুল, পেন, চকোলেট
লজ্জায় বললি না যে, দেখিসনি
তুইও বুঝি তাকে!
ফিরে দেখি আমি বুঝি সেই, তেরো
ছুঁয়ে ভেসে যাওয়া টিন
আজ তাকে আঁকড়াই বুকে ভুলে যেতে
বলি তাকায় না যে
আজ তাকে ছুঁয়ে থেকে বলি, এর
নাম মোহ এর নাম ভুল।
আয়না
মন খারাপের ঘরবাড়ি নেই
আমায় লেপটে
পড়ে থাকে
বারবার ওকে দরজা
দেখাই
দশ বাই দশে গুঁতোগুঁতি ঠাঁই
করে নেবে তবু শত দূরছাইয়ে
যাবে না আমাকে ছেড়ে
বিছুটি হাসিতে গায়ে জ্বালা ধরে
অতি গায়ে পড়া অসহ্য
ছেলে
গোঁফের কিনারে ওষ্ঠ অধরে
চ্যালেঞ্জ করেছে আমাকে
চুমু খেতে আমি শিখেছি ভালোই
এটুকু দিয়েছে প্রাক্তন প্রেম
ঠোঁটে জিভে আর কণ্ঠ তালুতে
আদর ঢেলেছি জড়িয়ে
বেপরোয়া ছেলে শরীরী স্পর্শে
জলে ও আগুনে ওম স্বাহা পুটে
অ্যানাকোনডার দ্রুতিতে আমাকে
অতলে গরলে টেনেছে
বিরাগের ছলে ডাহা অনুরাগী
হাতে পায়ে গিঁট সপ্তপদীর
খারাপ পাই না তার
কিছুতেই
ঘেঁটেছে এমন মোহতে
আর কারও হলে হাত
বাড়িয়েছি
দুই সতীনের দেখে বেরাদরি
কোণঠাসা লাগে মনখারাপের
বিমর্ষ মুখে ঘোরে সে
পারি না আসলে না দেখে থাকতে
চন্দ্রবদন ফিচেল
ছোঁড়ার
সেই যে আমার ছায়া ও আয়না
নাছোড় বেয়াড়া একলার
যদি
এই তো ওডিকোলন জলে স্নান সেরে
এলাম। পেপার হাতে বিছানায় আধশোয়া। ঝিমঝিম কাটিয়ে দিল দমকা হাওয়া এক। জানতে চাইল, আতর মেখেছি কিনা। নাহ,
মাখিনি তো! তুমি কি জানো না, আমারও নিজস্ব একটা গন্ধ আছে? পছন্দ নয় বুঝি আমায়? কী বললে, ককটেল
চাও? আমার আতর মিশ্রণ? ক্লিভেজ ছুঁয়ে কানের লতি কণ্ঠ এবং বাহুমূলের চুমু?
ওতে তো নেশা হয়ে যাবে তোমার! ধর না হয়, ভরদুপুরেই মাতাল হলে আজ, তারপর? এই অসময়ে যদি তোমায়
আবার স্নানে ডাকি, জলে মেশাই আমার মাদকতা, কী হবে তবে, কী হবে তোমার ফেলে রাখা কাজকম্ম সব? তোমার বিছানায় খোলা
ল্যাপটপ, প্রজেক্ট ম্যানেজার কলিং...। সব ফেলে স্নান না হয় হলো, কেবল চুমু
আর আদর খেয়ে পেট ভরবে তোমার? গন্ধে যদি অর্ধেকও খাওয়া হয়, এই যখন তুমি আমার
উপত্যকায় নাক ডুবিয়ে প্রাণ ভরে শ্বাস নাও, কী খাও তুমি বল তো? রতি গন্ধ
আমার? আমার ষোল কলা? কী দেখ তুমি, কোন উন্মোচন? নাকি দশ মহাবিদ্যা? গোটা পারস্য
উজিয়ে আনা আতর আমি মাখতে পারি চাইলেই, যদি তুমি এমনি করেই স্লুইস গেটে ধাক্কা মারো স্রোত, হাওয়া তুমি
এমনি ভাবেই হাট করে দাও কপাট, সখা তুমি এমনি ভাবেই খেলতে নামাও কুমিরডাঙ্গা জলে,
প্রিয় তুমি এমনি ভাবেই মরণ থেকে জাগিয়ে তোল রোজ, যদি...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন