বাটি
চালানের গল্প
লোকটা পিঁড়িতে বসে রোদ পোহায়। একটা অলস ভঙ্গিতে টুথপিক দিয়ে দাঁত খোঁচায়। পান খাওয়া কুচকুচে দাঁত। পাশে একটা বড়সড় কাপড়ের পোঁটলা। রইসউদ্দিন সাহেব গতকাল লোক পাঠিয়ে এই বিশেষ লোকটাকে খবর পাঠিয়ে এনেছেন। বেশ সুনাম এই বুজুর্গ লোকটার। সে বাটি চালান দিয়ে চোর ধরে।
রইসউদ্দিন সাহেবের বউয়ের কানের একজোড়া দুল পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে বাড়িতে হইচই। তিনি প্রথমে এ নিয়ে আমল দিচ্ছিলেন না। বলছিলেন, আরেক জোড়া কিনে দেবেন। কিন্তু বউ মহা অস্থির। তার বিয়ের দুল বলে কথা! রইসউদ্দিনের কান ঝালপালা করে ফেলেছে, চোর ধরা চাইই! শেষমেষ এই বুজুর্গ লোকটাকে খবর পাঠিয়ে আনা হয়েছে।
লোকটা পোঁটলা থেকে একটা রূপার বাটি, একটা লাল রুমাল, একটা অনেক পুরনো হাড় বের করে মাটিতে রাখে। এর মাঝে আশেপাশে মহা উৎসাহী লোকজনের ভিড় জমে যায়। বাটি চালানের খবর রাষ্ট্র হয়ে যায়। আগেই বলা হয়েছিল যে, তুলা রাশির লোক লাগবে একজন। রইসউদ্দিনের বাড়িতে একজন বুয়া আছে, জানা গেল তার তুলা রাশি।
মনিরা বুয়াকে আনা হলো। বুয়া লোকটার সামনে এসেই হাউমাউ করে কেঁদে উঠল
: সাহেব আমার সাথে ভালোবাসা করছে। সাহেব
আমারে দুল দিয়া দিছে। বলছে পরে বিয়া করবে...
বাটিটা সামনে উপুড় হয়ে আছে। বুজুর্গ লোক উপরের দিকে তাকিয়ে চোখ বন্ধ করে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুললেন। যেন সমস্তু
কৃতিত্ব তার।
রইসউদ্দিন চুপ করে বসে আছেন রাজনৈতিক দলের মতো, পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে ডুব দিয়েছেন। রইসউদ্দিনের বউ বাড়ির অন্দরে ফিট হয়ে পড়ে আছেন। লোকজনের ছোটাছুটি...
সকালের রোদ তখনো তেতে ওঠেনি উঠোনে...
রইসউদ্দিন চুপ করে বসে আছেন রাজনৈতিক দলের মতো, পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে ডুব দিয়েছেন। রইসউদ্দিনের বউ বাড়ির অন্দরে ফিট হয়ে পড়ে আছেন। লোকজনের ছোটাছুটি...
সকালের রোদ তখনো তেতে ওঠেনি উঠোনে...
ভালো লাগল অপরাহ্ণ!
উত্তরমুছুন