রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৫

শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়

পয়লা আষাঢ়

গালিচা পাতা রেড ফোর্ড
ঘোরাফেরা করি সভ্যতার প্রথম জলে
রাত বেয়ে নামা লার্ভার ইরাবতী
ক্যাসেলে নীলাম্বর
অপেক্ষাটুকু থাক শুধু একলা ঘরের
যেভাবে পুড়ে যাই ও হয়ে উঠি নিরাকার
মেঘের উত্তরে মেঘ জমে জমে হরিণা, সিংহী অথবা ফ্লাইওভার
এতদিনে এসে প্রেমের কবিতা লিখিয়ে নিচ্ছে
ওফেলিয়ার পোশাকে এ জন্মের মঙ্গলধ্বনি
বিন্দুবারি ডাকি ওহি সখি
এই প্রথম আষাঢ়স্য দিবস্

***
রঙের আকুলে ছাপোষা
কোন্ কথা তোমাকে ছুঁয়ে যাবে নাভিকেন্দ্র
একবার ভাবি ভেজা বর্ষাতির মিথ্যাচার
না কি এ ভরা বাদর
শ্বাসরুদ্ধ অলস শরীরী অন্বেষণ
লেখার কোনো কথাই কখনো ছিল না
আসলে লিখব না বলে বসেও আছি
ক্রমওয়েল পড়ছি আর লিপি আঁকছি
কবিতাকে ঘৃণা করতে চাইছি
গালাগাল দিচ্ছি ভূতগ্রস্থ জঙ্গলপুরাণ
স্নায়ুমুখ স্থানাঙ্ক জুড়ে শাড়ির হস্তক্ষেপ
আনকোড়া তাঁতের সাক্ষাৎকার


***
গাছ, শব্দ আঁকলেই কবিতার কাছাকাছি
হামামের ঘোলারোদে উজ্জ্বয়নির প্রাচীনা
মফঃস্বল অলঙ্কারে চমকে ওঠা
বিদ্যুতপৃষ্ট বিগতযৌবন
ডালিমের দানাগুলোর মতোই শান্তিপ্রিয়
একটা উগ্র মেজাজী লজ্জা
যে ছবিগুলো লিখব বলে ঘুরছি
আর অক্ষর আঁকছি
তাদের একটা দিক মেয়েটির বুকে আছড়ে পড়ল

যে মেয়ে
শূন্যগর্ভ কামড় লিখে রাখে বাহুতে


কেউ দেখতে পাচ্ছে না কোন সে ধূসর
স্বরলিপিতে মৃত্যু লেখা হচ্ছে
অ্যাসপিরিনগুলোকে রঙীন মুক্তোর ভাবনায়
ক্রমশ জলের এসরাজ আর অ্যাশট্রে
এই ঘরেরও কিন্তু একটা গর্ভবতী অঙ্গবাস আছে
আছে তোমাকে আড়াল খোঁজার নিবারণ
আমার স্মৃতি কেবল আমাকেই গন্ডীতে জড়াচ্ছে
পড়ন্ত রোদের হিজল রোয়াক
একটু একটু করে রাবার ঘষে সৎকার করছি রেখা
হারিয়ে যাবে জানি তন্দ্রার পার্কস্ট্রীট
ধোঁয়ার রঞ্জনে আঙুলের তিল


মুছে গেলে যতটা জমা হয়ে ওঠে বাতাস


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন