আত্মহত্যা
আচ্ছন্ন মেঘের ঢেকে যাওয়া আলোয় নিজেকে করেছি খুন৷
আলো সব বিভীষিকা আকাশচারীর প্রেত, তোমাকে দেখাব যমরাজের করালচিহ্ন৷
ছায়া ছায়া অন্ধকার বেশে কাকভোরে ভোর এলে অনুতাপে লিখি নিরুত্তর অনুভব৷
আঘাতী দেহটি তার কুসুমশয্যায় থমথমে মনে থৈ থৈ জলে ভাসে আর ডোবে
কি করুণ ব্যথা ছিল বুকের খাঁচায়?
বিফলে জীবন খোঁজে অন্য এক পরলোক, পঞ্চকোষে কি মুক্তি পেল মন?
অশুভ অশান্ত যত যমচিহ্ন মানুষের মনে খুন করে মন৷
ভালো আর মন্দ বিভাজনে ডুবু ডুবু মানুষটি অলোচিত হয় অবশেষে৷
সবিস্ময়ে
কার যেন শব্দ শুনছি আগুনে...
কার যেন কান্না শীতল জলেই শ্রুতিধর৷
কার যেন ছায়া আমাকে ডেকেছে কোনো নিরুদ্দেশে৷
কোণ সব সমকোণে ত্রিভূজ হয়েছি লাল রুইতনে
আয়তন জুড়ে জুড়ে নিরুদ্যম নাবালক রোদে পেতেছি আসন৷
ভুল ও বেভুলে যত কালো রং আমি তাকে জ্যোৎস্নায় সাজিয়েছি অজানিতে৷
কে যেন অগ্নিতে বাঁধে সুরলোক, ভয়ে কাঁপে মতিভ্রম!
কার যেন নিশিডাকে অবিরাম ভুলে ঈর্ষণীয় নদীটি অবিবাহিত
তবু চাঁদ সম্মোহনী রশ্মিজালে অকারণ সাদা...
জলে হাসি আছে, জলে কান্না আছে, আর আছে আগুনের অকথন শশব্যস্ত শব্দ সব৷
কার যেন শব্দছায়া দেখি জলেই নীরব
কার যেন কান্না শিশুকে দেখায় ভয়
কার যেন প্রেমে আমাকে পেয়েছি আমি সমধিক৷
তবু কেন দেখি সুষ্ঠু সুলিখিত সূর্যালোকে সৃষ্টিছাড়া সূর্যোদয়!
অসুখ
মুখে কথা নেই, কষ্ট আছে জেগে চোয়ালের
নিরুপায় হাত লেখে না-বলা অনুভূতির ডাক৷
ক্ষয়িষ্ণু এ বোধ মনে মনে যাপন করেছি ব্যথার নিঝুম ভোর
কোনো এক দিনবদলের এই যে মায়ার খেলা৷
মেঘের ওপর দিয়ে হাঁটি, অত্যন্ত অবুঝ এক দৃশ্য তোমাকে পোড়াবে এইবার
যত ক্ষুদ্র অভিমান শেষ ঠিকানায় গৃহমুখি স্বরে দ্বিখন্ডিত হবে৷
তাই আমি সুখকে বলেছি রাতচরা নিশা, অসুখকে বলেছি দায়
তার কাছে দেহহীন চিঠি আসে।
দু'হাতে নিয়তি ছবি নীল, তবু নিমীলতা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন